শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল খুলবে টিকা দেওয়ার পর

ফাইল ছবি
বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ জুন ২০২১ | ০৬:৩৮
বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ নানা কর্মসূচি পালন করলেও আবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকাদান শেষ করেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে চায় সরকার। তবে এ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চাইলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে সরাসরি অথবা অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজ নিজ একাডেমিক কাউন্সিলের পরামর্শ নিয়ে পরীক্ষাগ্রহণ ও মূল্যায়ন করতে হবে। টিকা দেওয়া শেষ হলে আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হবে। এরপরই পুরোদমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সরাসরি ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু হবে।
সোমবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্মকর্তারা ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা অংশ নেন। মঙ্গলবার ইউজিসি কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে ওই সভার চারটি সিদ্ধান্ত সবাইকে জানান।
করোনা পরিস্থিতি অনূকূলে আসলে আগামী ১৩ জুন স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কবে খুলে দেওয়া হবে তা ইউজিসি ও উপাচার্যদের সঙ্গে সভা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সে সময়ে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। সোমবার বিকেলে সেই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে কোভিড সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির কয়েকজন সদস্যও উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা যায়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়েই খোলার পক্ষে মত দেন মন্ত্রণালয় ও কোভিড সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সদস্যরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে চাপ রয়েছে বলে জানান উপাচার্যরা। তবে সরাসরি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা। যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতি মাস থেকেই পরীক্ষাগুলো শুরু করা যায়, তাহলে শিক্ষার্থীদের চাপ অনেকটাই কমবে বলে মত দিয়েছেন কয়েকজন উপাচার্য।
জানা যায়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় তিন লাখ। এর মধ্যে আবাসিক হলে থাকেন এক লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থী। তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খূলতে চায় মন্ত্রণালয়। আগামীতে চায়না বা অন্য যে কোনো জায়গা থেকে টিকা আসুক না কেন শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে তা দেওয়া হবে।
তবে উচ্চশিক্ষায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। তাদের মধ্যে ৩৭ লাখই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থী। যাদের বেশিরভাগেরই আবার আবাসিক হলে থাকার সুযোগ নেই। ফলে মাত্র এক লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য উচ্চশিক্ষার সব শিক্ষার্থীকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।