ঢাকা মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

কুয়েট ছাত্রলীগের ৪৪ নেতাকর্মীর ভাগ্য নির্ধারণে সভা আজ

কুয়েট ছাত্রলীগের ৪৪ নেতাকর্মীর ভাগ্য নির্ধারণে সভা আজ

ছবি: সংগৃহীত

খুলনা ব্যুরো

প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারি ২০২২ | ১২:২৩ | আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২২ | ১২:২৩

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ড. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগের ৪৪ নেতাকর্মী শোকজের জবাব দিয়েছেন।

মঙ্গলবার সকালে কুয়েটের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় তাদের শোকজের উত্তর পর্যালোচনা করে বিভিন্ন সুপারিশ করা হবে। তবে কুয়েট কর্তৃপক্ষের ‘ধীরগতির কার্যক্রমে’ সন্তুষ্ট নয় ড. সেলিমের পরিবার।

কুয়েটের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ইসমাঈল সাইফুল্লাহ জানান, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ২৯ ডিসেম্বর ৪৪ জন ছাত্রকে শোকজ করা হয়েছিল। তাদের ৩ ডিসেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। নির্ধারিত সময়েই তারা লিখিত জবাব দিয়েছে।

তিনি জানান, ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় অভিযুক্তদের শোকজের জবাব পর্যালোচনা করে পরবর্তী সুপারিশ করা হবে। এরপর বুধবার কুয়েট সিন্ডিকেটের সভায় তা উত্থাপন করা হবে। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

তবে কুয়েট কর্তৃপক্ষের ‘ধীরগতির কার্যক্রমে’ সন্তুষ্ট নয় ড. সেলিমের পরিবার।

দুপুরে তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন সমকালকে বলেন, তার বাবা নেই, স্বামীকেও হারিয়েছেন। এখন পরিবারে উপার্জনক্ষম কেউ নেই। তিনি শিক্ষক সমিতির মাধ্যমে তাকে একটা চাকরি দেওয়ার জন্য কুয়েট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছিলেন। সে ব্যাপারেও কোনো অগ্রগগতি নেই। তার একমাত্র মেয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। তার লেখাপড়া ও ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে গেছে। মেয়ের ছোট ছোট শখ পূরণের সামর্থ্যও তার নেই।

সাবিনা খাতুন বর্তমানে চুয়াডাঙ্গায় তার বাবার বাড়িতে রয়েছেন।

তিনি আরও জানান, তিনি মামলার জন্য কুয়েট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। যাদের কারণে তার স্বামীর মৃত্যু হলো, এখনও তাদের কারও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি।

তিনি বলেন, তার স্বামীর মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তিনি তো আর তার স্বামীকে ফিরে পাবেন না। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে এভাবে হয়তো আর কেউ স্বামীহারা, কেউ বাবাহারা হবেন না।

আরও পড়ুন

×