ঢাকা বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

আসক-এর বৈঠকে বক্তারা

অনলাইনে শিশু যৌন নির্যাতন রোধে চাই সমন্বিত উদ্যোগ

অনলাইনে শিশু যৌন নির্যাতন রোধে চাই সমন্বিত উদ্যোগ

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ১০:৩৩ | আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ১০:৩৩

বর্তমান সময়ে শিশু ও অভিভাবকরা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যোগাযোগের বিভিন্ন নতুন মাধ্যম ব্যবহার করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন। তাই শিশুদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিত করতে পাঠ্যক্রমে 'অনলাইন সেফটি' নামে অধ্যায় অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি সমন্বিতভাবে কাজ করা প্রয়োজন।

আজ বুধবার আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) আয়োজিত 'অনলাইনে শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ ও শিশুদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিতকরণ :পরিস্থিতি বিশ্লেষণ ও করণীয় নির্ধারণ' শীর্ষক ভার্চুয়াল বৈঠকে বক্তারা এ কথা বলেন।

আসক নির্বাহী পরিচালক গোলাম মনোয়ার কামালের সঞ্চালনায় বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, ইন্টারনেট থেকে শিশুদের দূরে রেখে তাদের আগামী দিনের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা যাবে না। তবে শিশুদের ডিজিটাল নিরাপত্তার বিষয়ে বাবা-মাকে যত্নশীল হতে হবে। একইভাবে শিক্ষকদেরও শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের জগতে যথাযথভাবে গাইড করতে হবে।

নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে সরকার ২২ হাজার পর্নো সাইট ও দুই হাজার জুয়ার সাইট বন্ধ করেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নিয়মিত আলোচনা ও বৈঠকের মাধ্যমে ক্ষতিকর কনটেন্ট বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি আইনের মতো ডিজিটাল অপরাধ প্রতিরোধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেরও প্রয়োজনীয়তা আছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, দেশের সংস্কৃতি অনুযায়ী সবাইকে নতুন মাধ্যম ব্যবহারের ঘাটতিগুলো মোকাবিলায় এগিয়ে আসতে হবে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার এবং যৌন নির্যাতন থেকে সুরক্ষার মতো বিষয়গুলো যুক্ত করে ২০২৩ সাল থেকে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।

পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খালেদা বেগম বলেন, অধিকাংশ শিশু ও নারী অভিযোগ করতে থানায় যেতে অনাগ্রহ দেখান। তাই শিশু বা নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে সংশ্নিষ্ট থানার কর্মকর্তাদের আরও সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর শিকদার বলেন, করোনাকালীন শিশু যৌন নির্যাতন বেড়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিষয়টির গভীরতা বিবেচনায় নিয়ে যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে সব পর্যায়ে কাজ করা জরুরি।

মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, সাইবার অপরাধ সাংগঠনিক এবং ব্যক্তি পর্যায়ে বেড়ে চলেছে। তাই শিশুদের মনোজগত সুরক্ষিত রাখতে মনোসামাজিক সেবার পাশাপাশি অভিভাবকদের নিরাপদ ইন্টারনেটের ব্যবহার সম্পর্কেও ধারণা থাকা খুব জরুরি।

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গ্রামীণ ফোন হেড অব সাসটেইনেবিলিটি অনজুম রাসনা হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহজাবিন হক, টিআইসির অধ্যক্ষ মো. গোলাম ফারুক এবং আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আসকের অনুষ্ঠান সমন্বয়কারী অম্বিকা রায়।

আরও পড়ুন

×