সড়ক সংস্কার না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ফের অবরোধ

বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সড়ক সংস্কার না হওয়ায় গাছ ফেলে, টায়ার জ্বালিয়ে ফের সড়ক অবরোধ করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শনিবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হলের সামনে কোটবাড়ী-বিজয়পুর সড়ক অবরোধ করেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এ রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয় গত বছরের আগস্টে। সংস্কার কাজ সম্পূর্ণ না করায় ধুলোবালির কারণে মারাত্মকভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন সড়কটির পাশে অবস্থিত আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা।

কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন বাবর বলেন, ১ মার্চের মধ্যে সড়ক মেরামত করার আশ্বাস দিলেও এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে পুরো রাস্তাটাকে খুঁড়ে বেহাল অবস্থা করে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। যার কারণে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আহসানুল হক শিপন বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ঠিকাদার এসে কাজ শুরু না করবে ততক্ষণ আমাদের অবরোধ অব্যাহত থাকবে। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কাজ শুরু করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘সড়ক অবরোধের বিষয়টা আমি জেনেছি। তবে রাস্তার ঠিকাদার ১০ দিনের মধ্যে কাজ শুরু করবে বলেছিল, কিন্তু এখনও করেনি। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানালে আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে কথা বলব।’

এ বিষয়ে সদর দক্ষিণ উপজেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, ‘কাজ শুরু হওয়ার কথা। আমি বিষয়টি প্রশাসনকে জানাচ্ছি এবং দায়িত্বরত সকলের সাথে কথা বলছি।

দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার কিছু বিল আটকে আছে এজন্য কাজ থেমে আছে। ১০ দিনের মধ্যে কাজ শুরু করার কথা ছিল কিন্তু পারি নি। আজকে রাতের মধ্যে সংস্কারসামগ্রী চলে আসবে এবং আগামীকালকের মধ্যে অবশ্যই কাজ শুরু হবে।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, এই বিষয়টা এলজিইডি অফিস আর ঠিকাদারের। মাঝখানে পুলিশ আর শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়ছে। তবে টাকার অভাবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বাকি কাজ শেষ করতে পারছে না বলে আমি জেনেছি।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীরা রাস্তা সংস্কারের দাবিতে অবরোধ করেছিল। সে সময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কাজ শুরু করার আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা।