রোববার ফের টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

ফাইল ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২২ | ১০:৪৭ | আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২২ | ১০:৪৭
রমজান সামনে রেখে এক কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারকে কম দামে পণ্য দেওয়ার লক্ষ্যে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) রোববার থেকে আবার ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি শুরু করছে।
ঢাকা মহানগরে প্রতিদিন ১৫০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এই পণ্য বিক্রি করা হবে। প্রথম দফায় বিক্রি কার্যক্রম রোববার শুরু হয়ে চলবে ২৪ মার্চ পর্যন্ত। দ্বিতীয় ধাপে ২৭ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত পণ্য বিক্রি করা হবে। তবে শুক্রবার বিক্রি বন্ধ থাকবে।
ঢাকা ছাড়া অন্যসব মহানগর, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হবে ১৫ মার্চ থেকে।
শনিবার টিসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ ব্যাপারে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির সমকালকে বলেন, প্রথম ধাপে আগের মতো চিনি, মশুর ডাল, পেঁয়াজ ও সয়াবিন তেল বিক্রি করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে এর সঙ্গে ছোলা বুট ও খেজুর যুক্ত হবে। এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, অসাধু চক্রকে ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ করে পুলিশের উপস্থিতিতে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।
এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগের নিয়মেই অর্থাৎ কোনো কার্ড ছাড়াই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের স্বল্প আয়ের ক্রেতারা টিসিবির পণ্য কিনতে পারবেন। তবে পণ্য বিক্রির স্থানগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। নিয়ম ভেঙে কেউ পণ্য নিলে জেল-জরিমানা করা হবে।
তবে এই তিন সিটির বাইরে অন্য এলাকার ক্রেতাদের টিসিবির পণ্য কেনার জন্য ফ্যামিলি কার্ডের প্রয়োজন হবে। ফ্যামিলি কার্ড তৈরির জন্য প্রতিটি জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করতে হবে। কমিটিতে মেয়র, জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের প্রতিনিধি, সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রতিনিধি, দুজন গণ্যমান্য ব্যক্তি, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও রাজস্ব কর্মকর্তা থাকবেন।
করোনাকালে প্রধানমন্ত্রী যে তালিকার ভিত্তিতে স্বল্প আয়ের মানুষদের নগদ সহায়তা দিয়েছেন সেই তালিকার ভিত্তিতে কিছু পরিবার বাছাই করা হবে। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি ছক পাঠানো হয়েছে এই কমিটির কাছে। ছকে সুবিধাভোগীর নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র ও সিরিয়াল নম্বর উল্লেখ থাকবে। সুবিধাভোগীদের জন্য কার্ড প্রস্তুতের সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থাকবেন।