ঢাকা শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

ফোনালাপ ফাঁস

চবির ফারসি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল

চবির ফারসি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল

ফাইল ছবি

চবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২২ | ১০:৫৮ | আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২২ | ১০:৫৮

'নিয়োগ বাণিজ্য' নিয়ে ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ সিন্ডিকেটের ৫৩৭তম সভায় ফারসি বিভাগের নিয়োগ বাতিল করা হয়। সিন্ডিকেট সভার পর সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য শিরীণ আখতার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

ফারসি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে বাণিজ্য নিয়ে দুই মাস আগে উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী খালেদ মিছবাহুল (উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক) ও হিসাব নিয়ামক দপ্তরের কর্মচারী মোহাম্মদ হোসেনের তিনটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। বিষয়টি গত বুধবার জানাজানি হলে খালেদ মিছবাহুলকে ব্যক্তিগত সহকারীর পদ থেকে সরিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া কর্মচারী মোহাম্মদ হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ফোনালাপে দুই নিয়োগপ্রার্থীর সঙ্গে ফার্সি বিভাগ ও বিভিন্ন দপ্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের বিষয়ে কথা বলেন তারা। এসব ফোনালাপে নিয়োগের ক্ষেত্রে টাকার লেনদেনের বিষয়টি স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে।

এই বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য জানিয়ে গতকাল চারুকলা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপাচার্য শিরীণ আখতার বলেন, 'অডিও ক্লিপটির ব্যাপারে জানার পরপরই আমরা হাটহাজারী মডেল থানায় জিডি করেছি। দুই মাস ধরে এই বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের প্রত্যেকে শাস্তি পাবে। আজ চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।'

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মনিরুল হাসান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ।

এ ব্যাপারে হাটহাজারী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, 'নিয়োগের ব্যাপারে টাকা চাওয়ায় কোনো মামলা হয়নি। আহমদ হোসেন নামে এক কর্মচারীর নামে টেলিফোনে নিয়োগ সংক্রান্ত মানহানিকর ও মিথ্যা তথ্য প্রদান করার বিষয়ে জিডি হয়েছে।'

আরও পড়ুন

×