- রূপচর্চা
- কোমল কেশ
কোমল কেশ

রিক্ততার বার্তা নিয়ে আসে শীত। ত্বকের পাশাপাশি চুলেও পড়ে বিরূপ প্রভাব। এ সময় চুল পড়া বেড়ে যায়। চুল রুক্ষ হয়ে ঝরে পড়তে শুরু করে। বাড়তি কিছু যত্ন নিলে চুলের ক্ষতি কমানো সম্ভব। কোমল কেশ পেতে করণীয় কী তা বিন্দিয়া বিউটি স্যালুনের রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচির পরামর্শ নিয়ে লিখেছেন আসমাউল হুসনা
শীত তার শুস্ক রূপ নিয়ে প্রকৃতিকে করে দেয় নির্জীব। প্রকৃতির এই শুস্ক ভাবের প্রতিক্রিয়া পড়ে চুলেও। শীতের এই মৌসুমে প্রয়োজন বাড়তি কিছু যত্ন।
মাথার তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন :শীতকালে মাথার তৈলাক্ত ত্বকে লুকিয়ে থাকা খুশকির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, অর্থাৎ খুশকি ত্বকের সঙ্গে লেগে থাকে। এ সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে মৌরি এবং সমপরিমাণ পানি সারা রাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন ভালোমতো বেটে মাথার ত্বকে এক থেকে দেড় ঘণ্টা লাগিয়ে রাখুন। এর পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। ব্যস এতেই দূর হবে খুশকি।
খুশকি দূর করতে :শীতকালে মাথার শুস্ক ত্বক আরও বেশি শুস্ক হয়ে যায়। খুশকি বেড়ে যায়, বাড়ে বিড়ম্বনাও। এ থেকে মুক্তি পেতে চাইলে দেড় টেবিল চামচ মেথি ও দেড় টেবিল চামচ শুকনা আমলকী এক কাপ পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখার পর বেটে ফেলুন। এর পর এর সঙ্গে মেশান দু-তিন চা চামচ মধু। এই মিশ্রণ চুলের গোড়ায় লাগালে খুশকি যেমন দূর হবে, তেমনি চুলে পুষ্টি জোগাতেও সাহায্য করবে। সঠিক পরিমাণে নেওয়া খুব জরুরি।
ধুলাবালি থেকে মুক্তি পেতে :ঠান্ডার দিনে গোসল করার এক ধরনের ভীতি দেখা যায় অনেকের মধ্যে। গোসলের জন্য শরীরে গরম পানি ব্যবহার করা হলেও মাথায় গরম পানি ব্যবহার করা যায় না। এ জন্য অনেকে গোসলের সময় চুল ভেজান না। ফলে শ্যাম্পুও করা হয় না নিয়মিত। এ সময় বাইরে অনেক বেশি ধুলাবালি ওড়ে বলে রোজ চুল পরিস্কার করা উচিত। ঠান্ডা পানি দিয়েই চুল ধোয়ার কাজ সেরে ফেলুন।
রুক্ষ আবহাওয়ায় অল্প শ্যাম্পু ব্যবহার করা ভালো। এক কাপ গরম পানিতে পাঁচ থেকে ছয়টি রিঠা সারা রাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন তা দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে পারেন। এটি শ্যাম্পুর কাজ করে থাকে। চুল রং করা থাকলে এই মিশ্রণ ব্যবহারে অনেক সময় চুল রুক্ষ বোধ হতে পারে। এমন হলে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এ ছাড়া যেহেতু রোজ শ্যাম্পু করা হবে, তাই শ্যাম্পুর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এর পর চুল ধুয়ে নিবিড় কন্ডিশনিং করুন।
চুলের রুক্ষতা রোধে :চুলের রুক্ষ ভাব দূর করতে নিয়মিত তেল মাখতে হবে। তবে চুলে তেল দিয়ে বাইরে বের হওয়া ঠিক হবে না। এতে আরও বেশি ময়লা জমবে চুলে। বাইরে বের হলে চুল ভালোমতো বেঁধে ও ঢেকে রাখতে হবে।
চুল ঝলমলে ও কোমল করতে :একটি আস্ত পাকা কলা, ছোট আকারের তিনটি দেশি পেঁয়াজ ও এক টেবিল চামচ মধু বেটে এক সঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এর পর চুলের গোড়া এবং সম্পূর্ণ চুলে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এর পর শ্যাম্পু করে নিন। কিছুদিন ব্যবহারে চুল যেমন মোলায়েম হবে, তেমনি গোড়াও হবে মজবুত।
চুল পড়া কমাতে টিপস
শীতে অনেকে মাথায় গরম পানি ঢালেন। গরম পানি মাথায় ঢালা উচিত নয়। অতিরিক্ত তাপের কারণে চুলের লোমকূপ খুলে যায়। এতে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায়। এ সময় অতিরিক্ত গরম পানি না ঢেলে কুসুম গরম পানি ঢালুন।
এ সময় বিয়ের দাওয়াতসহ বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম থাকে। চুলের সাজের জন্য অনেকে চুল কার্লি করে আবার কেউ কেউ চুল স্টেইট করে। চুলে বিভিন্নভাবে তাপ দিলেও চুলের কোমলতা নষ্ট হয়। চুল পড়া বাড়ে। চুল ভালো রাখতে খুব বেশি তাপ দেওয়া উচিত নয়।
গোসলের পর সঙ্গে সঙ্গে চুল আঁচড়ানো উচিত নয়। আবার চুল শুকানোর জন্য খুব বেশি হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করাও ঠিক নয়।
মডেল :সামিয়া অথৈ; ছবি :কাব্য
মন্তব্য করুন