খুশকির কারণে অনেকেরই অল্প বয়সে চুল ঝরে যায়। কারও কারও আবার ভ্রুর লোমও ঝরে পড়ে। পুষ্টিবিদদের মতে, মাথায় খুশকি না হলেও শরীরের আভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যার জন্যও চুল পড়ে যেতে পারে। ভ্রু ঝরারও অনেক কারণ আছে। যেমন-

বয়সজনিত সমস্যা: যা কিছু সুন্দর, সময়ের সাথে সাথে একদিন তা নষ্ট হবেই। তা মেনে নেওয়াই ভাল। মেয়েদের ক্ষেত্রে বয়স ৪৫ থেকে ৫০-এর পর এই ধরনের সমস্যা বাড়তে পারে। কারণ, ঋতুবন্ধের পর শরীরে নানা রকম হরমোনের ঘাটতি হতে থাকে। তখন চুলের মতো ভ্রু ঝরে যাওয়াও অস্বাভাবিক নয়।

থাইরয়েডের সমস্যা : শারীরিক কিছু সমস্যার কারণেও যে ভ্রু ঝরে পাতলা হতে পারে এটা অনেকেরই জানা নেই। বিশেষ করে থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে ভ্রু ঝরে পাতলা হয়ে যায়। চিকিৎসকদের মতে, থাইরয়েড গ্রন্থির অধিক সক্রিয়তা বা একেবারে কাজ না করা, দুই পরিস্থিতিতেই ভ্রু ঝরে যেতে পারে।

ঘন ঘন ভুরু তোলা: অনেকেই সুন্দর দেখানোর জন্য ভ্রু তোলেন। কিন্তু ভ্রু তোলার কয়েক দিন পর থেকেই আশেপাশে আবার ছোট ছোট লোম বেরিয়ে পড়ে। তখন দেখতে যাতে খারাপ না লাগে, তার জন্য ঘন ঘন ভ্রু তোলেন। নির্দিষ্ট সময় না মেনে ঘন ঘন ভ্রু তুললে পাতলা হয়ে যেতে পারে।

অ্যালোপেশিয়া
: অ্যালোপেশিয়া হলে মাথার কিছু কিছু জায়গায় যেমন চুল ঝরে ফাঁকা হয়ে যায়, তেমনই ভ্রুতেও হতে পারে এই রোগ। এ ছাড়া মাথায় খুশকি হলেও সেখান থেকে ভ্রু ঝরে যেতে পারে।

অপুষ্টিজনিত সমস্যা: শরীরে জ়িঙ্ক, আয়রন, ভিটামিন ডি এবং বি-এর ঘাটতি হলে চুলের মতো ভ্রু-ও ঝরে পড়ে। তাই বাইরে থেকে পরিচর্যার পাশাপাশি ভিতর থেকে শরীরে পুষ্টির জোগান দেওয়া দরকার।