যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু বলেছেন, এই সরকার জনবিস্ফোরণ ঠেকাতে পারবে না। হত্যা, নির্যাতন আর নেতাকর্মীদের রক্ত ঝড়িয়ে তারা আবারও ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু সেটা তাদের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠবে। সারাদেশের জনগণ রাজপথে নেমে এসেছে। পতন তাদের হবেই।

মুন্সীগঞ্জের শহীদুল ইসলাম শাওন ও নারায়নগঞ্জের শাওন প্রধানের পরিবারের হাতে দলের অনুদান প্রদানের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সোমবার এসব কথা বলেন যুবদল সভাপতি। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুই পরিবারের হাতে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন।

জানা গেছে, নিহত দুই যুবদল নেতার সন্তানদের জন্য ৫ লাখ টাকা করে চেক হস্তান্তর করা হয়ে। এ টাকা ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করে রাখা হয়েছে। 

জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দলীয় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে গত ২১ সেপ্টেম্বর গুলিবিদ্ধ হয়ে মুন্সীগঞ্জের যুবদল কর্মী শহীদুল ইসলাম শাওন নিহত হন। এর আগে ১ সেপ্টেম্বর দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিল চলাকালে নারায়নগঞ্জের যুবদল কর্মী শাওন প্রধানও গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।

টুকু বলেন, রক্তের ঋণ শোধ করার সময় এসেছে। বিগত ১৫ বছরে যত হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের রক্ত নেওয়া হয়েছে। তার হিসাব কড়ায় গন্ডায় নেওয়া হবে। যারা এসব হত্যার সঙ্গে জড়িত এবং যারা নির্দেশদাতা তাদের সবার খবর আমরা জানি। সময়মতো তাদের বিচারের কাঠগড়ায় তোলা হবে। এর আগে জনতার আদালতে তাদের বিচার হবে। 

তিনি বলেন, দলের নেতাকর্মীরা রক্ত দিতে আর ভয় পায় না। তাদের এই আত্মত্যাগ শুধু ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে না। দলের প্রত্যেক নেতাকর্মীর হৃদয়ে স্থান নিয়ে থাকবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাদের পরিবারের দায়িত্বভার নিয়েছেন। যুবদলের পক্ষ থেকেও এসব নেতাদের পরিবারের প্রতি সর্বাত্মক সহযোগিতা, ভালোবাসা, মায়া থাকবে। 

যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্নার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন , মুন্সিগঞ্জ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মামুন হাসান, দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, সহ দপ্তর সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ প্রমুখ।