ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে বুধবার আয়োজিত পদযাত্রায় অনেক নেতাকর্মী অংশ নেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটাধিকার, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, আর্থিক খাতে লুটপাট আর দুর্নীতির বিষয়গুলো এ কর্মসূচিতে বেশি প্রাধান্য দেন তাঁরা। 

পদযাত্রার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা বলেন, এখন বাংলাদেশের মানচিত্র নিয়ে ছিনিমিনি খেলা শুরু হয়েছে। এটা মানুষ কখনও হতে দেবে না।  ছয়টি দেশের কূটনীতিকদের বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করার ঘটনা ৫১ বছরেও ঘটেনি। এই সরকার কূটনৈতিকভাবেও ব্যর্থ হয়ে পাগলের মতো আচরণ করছে। 

মহানগর উত্তরের বাড্ডা সুবাস্তু ভ্যালি টাওয়ারের সামনে থেকে রামপুরা আবুল হোটেল পর্যন্ত পদযাত্রায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে ভোটের প্রতি মানুষের কোনো আস্থা নেই। বিএনপিও এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না।’ 

বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় কয়েক হাজার নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে পদযাত্রা শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৫টায় রামপুরা আবুল হোটেলের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের পরিচালনায় এতে অংশ নেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপি নেতা রাকিবুল ইসলাম বকুল, ডা. রফিকুল ইসলাম, কামরুজ্জামান রতন, তাবিথ আউয়াল, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিত উলফাত, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, যুবদলের শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজীব আহসান প্রমুখ।

বিএনপির এ পদযাত্রাকে ঘিরে দুপুরের আগে থেকে নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল করে জড়ো হতে থাকেন। নির্ধারিত সময়ের আগেই পুরো এলাকা ভরে যায়।

বুধবার বিকেল ৩টায় গোপীবাগে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির পদযাত্রার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘গ্যাসের দাম আবার নাকি বৃদ্ধি করবে সরকার। এই কয়েক দিন আগে গ্যাসের দাম যে বাড়ানো হয়েছে, তারা হয়তো ভুলে গেছে।’ দুপুর ২টা থেকে মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে বাসাবো বালুর মাঠের কাছে নেতাকর্মীরা সমবেত হন। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর পদযাত্রা শুরু হয়, যা মালিবাগ কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এসে শেষ হয়। মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় সমাবেশে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অধীনস্থ আদালত এবং সরকারের ‘অবজ্ঞা’, গায়েবি মামলায় নির্বিচারে গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, লোডশেডিং,  সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদ এবং ১০ দফা দাবি পূরণে এ কর্মসূচি পালিত হয়। একই দাবিতে আগামী মঙ্গলবার মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে এবং মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে পদযাত্রা হবে।

এ ছাড়া সারাদেশে ঘোষিত জনসমাবেশের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে শুক্রবার সমাবেশ এবং ২৭ মে উত্তরায় সমাবেশ হবে। ২০ মে  ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে এবং ২৬ মে যাত্রাবাড়ীতে সমাবেশ হবে।