- বাজেট
- সংবাদপত্র শিল্প এবারও কিছু পেল না
সংবাদপত্র শিল্প এবারও কিছু পেল না

সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) গত কয়েক বছর ধরে করপোরেট ট্যাক্স ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ এবং সংবাদপত্র শিল্পের প্রধান কাঁচামাল নিউজপ্রিন্ট আমদানির ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফের দাবি জানিয়ে আসছে। এ ছাড়া বিজ্ঞাপন আয়ের ওপর উৎসে কর ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা এবং উৎসস্থলে কাঁচামালের ওপর ৫ শতাংশের বদলে অগ্রিম কর (এআইটি) শূন্য শতাংশ করা, কর্মীর আয়কর থেকে প্রতিষ্ঠানকে দায়মুক্ত করা এবং বাড়ি ভাড়ার পুরোটাই করমুক্ত করার দাবি জানিয়েছে নোয়াব। কিন্তু এবারের বাজেটে কোনো দাবিই রাখা হয়নি।
বিশ্বায়ন ও ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে ছাপা সংবাদপত্র এমনিতেই সমস্যায় রয়েছে। করোনাভাইরাসের মহামারি সেই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ করে তুলেছে। এ অবস্থায় টিকে থাকার জন্য সংবাদপত্রের এসব সুবিধা অনিবার্য হয়ে পড়েছে বলে মনে করে নোয়াব। করোনা পরিস্থিতিতে পত্রিকাগুলোর বিজ্ঞাপন শূন্যের কোঠায় নেমেছে, পত্রিকার গ্রাহকও ব্যাপকভাবে কমেছে। ফলে প্রচুর আর্থিক লোকসান গুনতে হচ্ছে। পত্রিকাগুলোর মাসিক বেতন ব্যয়, অফিস ভাড়া, ব্যবস্থাপনা ব্যয়, পত্রিকা পরিবহন ব্যয়সহ অন্য সব ব্যয় অপরিবর্তিত রয়েছে। কয়েকটি পত্রিকা প্রিন্ট সংস্করণ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে নোয়াব বলেছে, সংবাদপত্র সেবা শিল্প হওয়া সত্ত্বেও বিশেষ কোনো সুবিধা পাচ্ছে না। করোনা সংকটে সব খাতই প্রণোদনা, সহায়তা বা ছাড় পেয়েছে। সংবাদপত্র তথা গণমাধ্যম এসবের বাইরে আছে। সরকারের সহযোগিতা ছাড়া এ শিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না।