- ক্যাম্পাস
- চ্যাম্পিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট
চ্যাম্পিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

৯২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬২টি দলের অংশগ্রহণে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়
ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ১২টা ৪৫। ৫ ঘণ্টার লড়াইয়ের দু’ঘণ্টা গত। ১৬২ টিমে ৪৮৬ প্রতিযোগীর চলমান লড়াইয়ে শীর্ষস্থান তখন ‘বুয়েট সম্মোহিত’র দখলে। দ্বিতীয় ‘ডিইউ ক্রোনোস’, তৃতীয় আইওআই-১। পাশার দান উল্টে গেল ঘণ্টখানেক পরই। দুপুর ১টা ৫০, ফলাফল বোর্ডের শীর্ষে (প্রথম স্থান) তখন ঠিক ৬০ মিনিট আগে তিনে থাকা ‘আইওআই-১’; দ্বিতীয় কিছুক্ষণ আগেও চারে থাকা ‘ডিইউ নট রেডি ইয়েট’ এবং তৃতীয় ‘ডিইউ ক্রোনোজ’। এরপরের ধারাক্রম হলো– বুয়েট সম্মোহিত, ব্রাক-ইউ ক্রোস, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাস্ট-মায়েম, আইইউটি ফ্লুরিয়ার ট্রান্সফর্ম। না। শীর্ষ তিন তখনও চূড়ান্ত নয়। যা বুঝতে ও জানতে অপেক্ষা করতে হলো আরও পৌনে দুই ঘণ্ট। ঘড়ি তখন কাঁটায় কাঁটায় ৩টা ৪০। চূড়ান্ত বোর্ডে চ্যাম্পিয়ন পাঁচ ঘণ্টার লড়াইয়ের অধিকাংশ সময় শীর্ষে না থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম ‘ডিইউ ক্রোনোস’। দ্বিতীয় একই প্রতিষ্ঠানের আরেকটি ‘ডিইউ নট রেডি ইয়েট’ এবং তৃতীয় ‘বুয়েট সম্মোহিত’।
এগিয়ে থেকে পিছিয়ে পড়া, পেছন থেকে শীর্ষে ওঠা– উত্থান-পতনের এমন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়েই গত ১১ মার্চ দিনব্যাপী শেষ হলো আন্তর্জাতিক কলিজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট-আইসিপিসি। গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত প্রোগ্রামিংয়ের অলিম্পিয়াড খ্যাত এই প্রতিযোগিতায় শীর্ষ ১০ স্থান অর্জনকারী অন্য টিমগুলো হলো– আইওআই ১ (অনারেবল মেনশন), ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির টিম ব্রাক-ইউ ক্রোস, আইইউটি ফ্লুরিয়ার ট্রান্সফর্ম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাস্ট বঙ্কক্লাউড, বুয়েট হ্যালোবাইট এবং সাস্ট বার্লেক্যাম্পমেসি ও সাস্ট মায়হেম। কেমন ছিল সেরাদের সেরা হওয়ার এই লড়াই? গল্পচ্ছলে সেই কথাই জানালেন প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব হাসান, ইয়ামিন কায়সার ও ভোলানাথ দাস। বিজয়ী তিনজনের মধ্যে সাকিব চতুর্থ বর্ষ এবং ইয়ামিন ও ভোলানাথ দাস তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ইয়ামিন কায়সার জানান, গত ডিসেম্বর মাসে আমাদের টিমটি গঠন হয়। তখন থেকেই ভালো কিছু করার প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু সেটা যে এত ভালো হবে, ভাবিনি। ইয়ামিন বলেন, প্রতিযোগিতার শুরুর দিকে পিছিয়ে ছিলাম। কিন্তু আমাদের সবার সম্মিলিত চেষ্টায় পরক্ষণেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম।
আয়োজক কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ার অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ বললেন, গোটা বিশ্বে আইসিপিসি এখন জনপ্রিয় প্রতিযোগিতা। বিষয়টি আরও ভালো অনুধাবন করা করা যায় এখানে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখে। গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, আইসিপিসির মাধ্যমে বিশ্বের প্রযুক্তি অঙ্গন ইতোমধ্যে বিকশিত হয়েছে, আগামীতে আরও হবে। এর আগে প্রতিযোগিতায় প্রিলিমিনারি পর্ব ১১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন