- ক্যাম্পাস
- জোর করে সেচ লাইসেন্স রেখে দেওয়ার অভিযোগ
জোর করে সেচ লাইসেন্স রেখে দেওয়ার অভিযোগ

আছিম সাব-জোনাল অফিসে এক কৃষককে ডেকে নিয়ে সেচ পাম্পের লাইসেন্সের মূলকপি রেখে দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির এজিএমের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলাম।
হরিপুর গ্রামে জাহিদুলের একটি সেচ পাম্প রয়েছে। যার লাইসেন্স নম্বর ১৬৭/২১। এই সেচ পাম্পে পল্লী বিদ্যুতের সেচ ও ফিশারি শিল্প বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া আছে। একই সংযোগ থেকে গত ১২ মার্চ হরিপুর গ্রামের ট্রান্সফরমার থেকে ১৪৫ ফুট দূরে নিয়মবহির্ভূতভাবে আব্দুল জলিল নামে এক ব্যক্তির সেচ পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গেলে পল্লী বিদ্যুতের লোকজনকে বাধা দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন বিদ্যুৎ সংযোগ না দিয়ে অফিসে ফিরে আসেন।
এ ঘটনায় ১৯ মার্চ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে কৃষক জাহিদুল ইসলামকে আছিম সাব জোনাল অফিসে ডেকে পাঠান এজিএম মশিউর রহমান। কৃষক জাহিদুল গিয়ে কাগজপত্র দেখালে পল্লী বিদ্যুতের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) মশিউর রহমান সেচ পাম্পের মূল লাইসেন্স রেখে দেন।
সেচ লাইসেন্স রেখে দেওয়ার ঘটনায় ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ জেনারেল ম্যানেজার বরাবর গত সোমবার লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী জাহিদুল ইসলাম।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদের সামনে রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মুক্তা বলেন, ‘আমার মাধ্যমে ডেকে নিয়ে কৃষকের সেচ লাইসেন্স রেখে দেওয়া কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। যেখানে সেচ পাম্পের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে চাইছে, সেখানে একটি সরকারি বক্স কালভার্ট রয়েছে। ফিশারি বা কোনো শিল্প স্থাপন করা হলে কালভার্টের মুখ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা দেখা দেবে।’
অভিযোগের বিষয়ে এজিএম মশিউর রহমান বলেন, ‘অফিস থেকে বের হয়ে কিছুক্ষণ পর এসে আমার কাছে সেচ লাইসেন্স চায়। কৃষকের সেচ লাইসেন্স রেখে দিয়ে আমি কী করব? পল্লী বিদ্যুতের নিয়মনীতি পূরণ করে সংযোগের জন্য আবেদন করার পর গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গেলে বাধা দেন জাহিদুল।’
মন্তব্য করুন