- ক্যাম্পাস
- ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে 'মিট উইথ ভিসি'
ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে 'মিট উইথ ভিসি'

শিক্ষার্থীরা উন্মুক্ত আলোচনা করেন তাঁদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ একাডেমিক ও প্রশাসনিক সব বিষয় দেখভালের সর্বোচ্চ দায়িত্বে নিযুক্ত থাকেন উপাচার্য। প্রোটোকল, ব্যস্ততাসহ নানা কারণে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতের খুব একটা সুযোগ হয়ে ওঠে না তাঁর।
শিক্ষার্থীরাও নিজেদের আশা-আকাঙ্ক্ষা, অভিযোগ-অনুযোগের কথা সরাসরি জানাতে পারেন না এই প্রধান নির্বাহীকে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে দেখা দেয় নানারকম জটিলতা। ব্যতিক্রমী এক আয়োজনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের সেই খোরাক মিটিয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। সম্প্রতি ইউনিভার্সিটির এবি ফোর বিল্ডিংয়ে উপাচার্য কার্যালয়ে আয়োজিত হয় ‘মিট উইথ দ্য ভাইস চ্যান্সেলর’ অনুষ্ঠান। যেখানে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সম্ভাবনা, সাফল্য ও ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ সমস্যা ও এর সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন উপাচার্যের সঙ্গে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭টি বিভাগের মোট ৩০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন এই অনুষ্ঠানে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. এম. লুৎফর রহমান, সায়েন্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অনুষদের ডিন ড. মো. ফোখরে হোসেন, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ অনুষদের ডিন ড. মো. কবিরুল, উপাচার্য কার্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. আব্দুর রুমান খানসহ অনেকে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা ওই মতবিনিময় অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা উন্মুক্ত আলোচনা করেন তাঁদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে। এসবের তাৎক্ষণিক সমাধানও নিরূপণ করে দেন উপাচার্য। শুধু সমস্যাই নয়, নিজেদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ও বিশ্ববিদ্যালয়ে এর ব্যবহার, নিজেদের সম্ভাবনা ও সফলতার কথাও তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বক্তব্যে ক্লাস শিডিউল, ট্রান্সপোর্টসহ বেশ কয়েকটি সমস্যা উঠে আসে। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এম এম আলম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের আবদার ও অভিযোগ অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে শুনেছে এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাও নিয়েছে। অনুষ্ঠানের সমাপনীতে উপাচার্য ড. এম. লুৎফর রহমান বলেন, ‘এই প্রজন্মের তরুণরা খুব বেশি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝুঁকে পড়ছে, তাদের মধ্যে হতাশা তৈরি হচ্ছে।
এ জন্য আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানতে চাই, উপলব্ধি করতে চাই। ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রয়াস থেকেই এই আয়োজন। আজ যে সমস্যা ও সম্ভাবনা উঠে এসেছে সেগুলোর যথাযথ মূল্যায়ন অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন