কামারের দোকানে ভিড় বেড়েছে

পরশু ঈদুল আজহা। কোরবানির প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বিভিন্ন আকৃতির ছুরি দা, বঁটি, চাপাতির পসরা সাজিয়েছেন এক বিক্রেতা। ছবিটি বৃহস্পতিবার রাজশাহী মহানগরীর শালবাগান বাজার থেকে তোলা সমকাল
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২২ | ১২:০০
আর দুই দিন পর পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মাংস কাটার সামগ্রী কিনতে ভিড় বেড়েছে কামারের দোকানে। তাঁরা কিনছেন চাকু, ছুরি ও বঁটি। পশু কোরবানিকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় কামারপল্লিগুলো মাংস কাটার সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে। দগদগে আগুনে গরম লোহায় ওস্তাদ-সাগরেদের পেটাপিটিতে মুখর হয়ে উঠেছে কামারশালাগুলো। আবার এসব ধাতব সরঞ্জাম শান দিতে দোকানে ভিড়ের কমতি নেই। প্রতি বছর হাজার হাজার গরু, খাসি, ভেড়া, উট, দুম্বা, মহিষ কোরবানি হয়ে থাকে। পশু জবাই থেকে শুরু করে রান্না পর্যন্ত প্রয়োজন দা, বঁটি, ছুরি, চাপাতিসহ নানা ধাতব হাতিয়ারের।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কামারশালাগুলোতে ব্যস্ততা বেড়েছে। এখানে কমপক্ষে ৩৪টি কর্মকারের দোকান রয়েছে। এ ছাড়া মিরপুর, মোহাম্মদপুর, পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার, ঠাটারীবাজার, চকবাজার, বংশাল, নিউমার্কেট, খিলগাঁও, সায়েদাবাদ, গুলশান-বাড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ীভাবে বসেছে পশু জবাইয়ের নানা সরঞ্জামের দোকান।
গতকাল বুধবার দুপুরে কারওয়ান বাজার কামারপট্টিতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁদের ব্যস্ততা ও ক্রেতাদের ভিড়। পছন্দের বিভিন্ন সাইজের দা, ছুরি, বঁটি, চাকু, চাপাতি ও চায়নিজ কুড়াল বেছে নিচ্ছেন ক্রেতারা। লোহার পাশাপাশি স্টিলের তৈরি ছুরি-চাকুরও বেশ চাহিদা রয়েছে।
কারওয়ান বাজারে আসা একাধিক ক্রেতা জানান, কোরবানির পশু জবাই ও গোশত বানানোর জন্য তাঁরা সরঞ্জাম কিনছেন। তুলনামূলকভাবে এসব সরঞ্জামের দাম এবার বেশ চড়া বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
সাইফুল ও শাহ আলমসহ একাধিক বিক্রেতা জানান, সারা বছর এসব জিনিসপত্রের বেচা-বিক্রি কম থাকে। তবে কোরবানির ঈদ এলেই বিক্রি বাড়ে। তাঁরা আরও জানান, লোহার দাম বাড়লেও ক্রেতা কম থাকায় আগের দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। শেষ দুই দিন বিক্রি বেশি হবে।
মিরপুর পশ্চিম শেওড়াপাড়া পীরেরবাগের দোকানি অনিকা দাস কর্মকার সমকালকে বলেন, সারা বছর বেচাকেনায় কোনোমতে দোকান ভাড়া হয়। সংসার আর চলে না। কোরবানির ঈদের সময় ভালোই বিক্রি হয়। ভালোমন্দ মিলিয়েই এভাবেই ২৫ বছর ধরে চলছে তাঁর সংসার। অপর দোকানদার মিহির কর্মকার বলেন, ঈদে কোরবানির পশু যত বেশি বিক্রি হবে, তত বেশি আমাদের বেচা হবে। এ ব্যবসা অনেকটা কোরবানির পশু বিক্রির ওপর নির্ভরশীল। করোনার কারণে গত দুই বছর একেবারেই বেচা-বিক্রি ছিল না বলেই চলে। তবে ঈদের আগের শেষ দুই রাতের জন্য অপেক্ষা করছি।
ক্রেতাদের দাবি, গতবারের তুলনায় পশু কাটার সরঞ্জামের দাম একটু বেশি। অন্যদিকে বেশি দামের কথা স্বীকার করতে চান না দোকানিরা। তাঁরা জানান, আগের মতোই পশুর চামড়া আলাদা করার ছুরি (ছোট) ২৫০ টাকা, মাঝারি ৩৫০ টাকা, পাগলু সাইড ছুরি ৪০০ টাকা এবং বড় জবাই ছুরি (স্প্রিংয়ের বাঁট) ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাপাতি সাড়ে ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, লোহার বাঁটঅলা দা ৮-৯শ টাকা, লোহার বঁটি প্রতিপিস সাড়ে ৩-৪শ টাকা, ভোজালি ৫-৬শ থেকে ২ হাজার টাকা এবং হাড় কাটার জন্য চায়নিজ কুড়াল ১ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি এসব সরঞ্জাম কেজি হিসেবেও বিক্রি হচ্ছে। পশুর তেল ছাড়ানোর জন্য প্রতিপিস স্টিলের দাম ৫০ টাকা, শিল-পাথর বঁটিতে ধারের যন্ত্র ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কামারশালাগুলোতে ব্যস্ততা বেড়েছে। এখানে কমপক্ষে ৩৪টি কর্মকারের দোকান রয়েছে। এ ছাড়া মিরপুর, মোহাম্মদপুর, পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার, ঠাটারীবাজার, চকবাজার, বংশাল, নিউমার্কেট, খিলগাঁও, সায়েদাবাদ, গুলশান-বাড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ীভাবে বসেছে পশু জবাইয়ের নানা সরঞ্জামের দোকান।
গতকাল বুধবার দুপুরে কারওয়ান বাজার কামারপট্টিতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁদের ব্যস্ততা ও ক্রেতাদের ভিড়। পছন্দের বিভিন্ন সাইজের দা, ছুরি, বঁটি, চাকু, চাপাতি ও চায়নিজ কুড়াল বেছে নিচ্ছেন ক্রেতারা। লোহার পাশাপাশি স্টিলের তৈরি ছুরি-চাকুরও বেশ চাহিদা রয়েছে।
কারওয়ান বাজারে আসা একাধিক ক্রেতা জানান, কোরবানির পশু জবাই ও গোশত বানানোর জন্য তাঁরা সরঞ্জাম কিনছেন। তুলনামূলকভাবে এসব সরঞ্জামের দাম এবার বেশ চড়া বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
সাইফুল ও শাহ আলমসহ একাধিক বিক্রেতা জানান, সারা বছর এসব জিনিসপত্রের বেচা-বিক্রি কম থাকে। তবে কোরবানির ঈদ এলেই বিক্রি বাড়ে। তাঁরা আরও জানান, লোহার দাম বাড়লেও ক্রেতা কম থাকায় আগের দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। শেষ দুই দিন বিক্রি বেশি হবে।
মিরপুর পশ্চিম শেওড়াপাড়া পীরেরবাগের দোকানি অনিকা দাস কর্মকার সমকালকে বলেন, সারা বছর বেচাকেনায় কোনোমতে দোকান ভাড়া হয়। সংসার আর চলে না। কোরবানির ঈদের সময় ভালোই বিক্রি হয়। ভালোমন্দ মিলিয়েই এভাবেই ২৫ বছর ধরে চলছে তাঁর সংসার। অপর দোকানদার মিহির কর্মকার বলেন, ঈদে কোরবানির পশু যত বেশি বিক্রি হবে, তত বেশি আমাদের বেচা হবে। এ ব্যবসা অনেকটা কোরবানির পশু বিক্রির ওপর নির্ভরশীল। করোনার কারণে গত দুই বছর একেবারেই বেচা-বিক্রি ছিল না বলেই চলে। তবে ঈদের আগের শেষ দুই রাতের জন্য অপেক্ষা করছি।
ক্রেতাদের দাবি, গতবারের তুলনায় পশু কাটার সরঞ্জামের দাম একটু বেশি। অন্যদিকে বেশি দামের কথা স্বীকার করতে চান না দোকানিরা। তাঁরা জানান, আগের মতোই পশুর চামড়া আলাদা করার ছুরি (ছোট) ২৫০ টাকা, মাঝারি ৩৫০ টাকা, পাগলু সাইড ছুরি ৪০০ টাকা এবং বড় জবাই ছুরি (স্প্রিংয়ের বাঁট) ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাপাতি সাড়ে ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, লোহার বাঁটঅলা দা ৮-৯শ টাকা, লোহার বঁটি প্রতিপিস সাড়ে ৩-৪শ টাকা, ভোজালি ৫-৬শ থেকে ২ হাজার টাকা এবং হাড় কাটার জন্য চায়নিজ কুড়াল ১ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি এসব সরঞ্জাম কেজি হিসেবেও বিক্রি হচ্ছে। পশুর তেল ছাড়ানোর জন্য প্রতিপিস স্টিলের দাম ৫০ টাকা, শিল-পাথর বঁটিতে ধারের যন্ত্র ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।