ঢাকা বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

‘নীলার দংশনে নীল পূর্বাচল’

অনিয়ম তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি করল রাজউক

অনিয়ম তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি করল রাজউক

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২২ | ০৮:৩১ | আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২২ | ০৮:৪৫

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল উপশহর প্রকল্পে প্লট দখলসহ নানা অনিয়ম তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে রাজউক। 

মঙ্গলবার সমকালে ‘নীলার দংশনে নীল পূর্বাচল’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের পর রাজউক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা এ কমিটি গঠন করে দেন। 

রাজউকের একজন বোর্ডসদস্যকে কমিটির প্রধান, একজন পরিচালক ও প্রকল্পের একজন নির্বাহী প্রকৌশলীকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে।

রাজউক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা সমকালকে বলেন, সমকালের প্রতিবেদনে অনেকগুলো বিষয় উঠে এসেছে। এগুলো তদন্ত করতে কিছু সময়ের প্রয়োজন। তদন্ত কমিটিকে ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তারা প্রতিবেদন দাখিল করবে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে রাজউকের একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমকালকে বলেন, পূর্বাচল ক্লাবের যে বিষয়টি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, প্রকৃতপক্ষে ক্লাবের ওই জায়গাটি কলেজ ও খেলার মাঠ হিসেবে রাজউকের নকশায় চিহ্নিত ছিল। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও রূপগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা সেখানে পূর্বাচল ক্লাব বসিয়ে সদস্য পদ দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা বাণিজ্য করছেন।

রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী ও পূর্বাচল প্রকল্পের সাবেক প্রকল্প পরিচালক উজ্জ্বল মল্লিক সমকালকে বলেন, পূর্বাচল ক্লাবের জায়গাটি মূল নকশায় কলেজ ও খেলার মাঠ হিসেবে চিহ্নিত থাকায় প্লটের মূল্যের পুরো টাকা পরিশোধ করলেও রাজউক জায়গাটি ক্লাবের নামে রেজিস্ট্রি করে দেয়নি। এ জন্য ক্লাব কর্তৃপক্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। আদালতে ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত রাজউক জায়গাটি ক্লাবের নামে রেজিস্ট্রি করে দেবে না।

এদিকে সমকালে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর রাজধানীসহ রাজউক, পূর্বাচল ও রূপগঞ্জের মানুষের মুখে মুখে আলোচনার বিষয় ছিলেন নীলা।

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে রূপগঞ্জের আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক। অনুষ্ঠানটিতে নীলা যোগ দিলেও পুরো সময়ে তাকে অনেকটা নিষ্প্রাণ দেখা যায়। 

মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নস্যাৎ করতে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে জাতি কলঙ্কমুক্ত হলেও বঙ্গবন্ধুর খুনি ও তাদের দোসররা এখনো দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। 

এ সময় রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান ভুঁইয়া, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন ভুঁইয়াসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 

আরও পড়ুন>> নীলার দংশনে নীল পূর্বাচল

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×