ঢাকা রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

পুরনো মামলায় ঢাকায় বিএনপির ৫৩ নেতা-কর্মী কারাগারে

পুরনো মামলায় ঢাকায় বিএনপির ৫৩ নেতা-কর্মী কারাগারে

আদালত প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৩ | ১৪:৪৫ | আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৩ | ১৪:৫২

রাজধানীর বিভিন্ন থানায় নাশকতার মামলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৫৩ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। পুলিশের করা পৃথক আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের পৃথক পৃথক হাকিম জামিন না মঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে আদালত সংশ্লিষ্ঠরা জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ঠ তদন্ত কর্মকর্তারা আসামিদের মামলার তদন্ত কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানান। তবে কোনো আসামিকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেনি। তাঁদের অনেকের পক্ষে আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে পৃথক পৃথক আদেশে প্রত্যেককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার পৃথক আদালত।

পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া তাঁরা শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা চালিয়ে আসছে।

আদালত সুত্রে জানা গেছে, যাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাঁরা হলেন খিলগাঁও যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ আকন্দ, যুবদলের সদস্য মকবুল বক্স ও খিলগাঁও থানা যুবদলের ইব্রাহিম হকি। পল্টন থানায় ২০২২ সালে করা দুই মামলায় এই তিনজনকে হাজির করে পুলিশ।

দারুস সালাম থানায় গত ১৯ জুলাই করা হত্যাচেষ্টা মামলায় হাজির করা হয় বিএনপির মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, জুয়েল রানা, নুরুল হক, শাকিল আহমেদ ও রনি পারভেজকে। পল্লবী থানায় ২০২২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর করা নাশকতা, পুলিশকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার মামলায় আদালতে হাজির করা হয় পল্লবী থানা বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য কাওছার আলম জয় ও যুবদলের আরিফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান আজিবর, ইমরান ও শফিক কামালকে। ওয়ারী থানায় ২০২২ সালের ২৩ নভেম্বর করা নাশকতার একটি মামলায় বিএনপি সদস্য আলাউদ্দিন, নিজাম উদ্দিন মুনœু ও রিয়াদ আহমেদ রাজুকে হাজির করা হয়।

রামপুরা থানায় গত বছর ৪ ডিসেম্বর করা মামলায় মো. মামুন ও স্বপনকে আদালতে হাজির করা হয়। সবুজবাগ থানায় ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর করা মামলায় জসিম উদ্দিন সরকারকে আদালতে হাজির করা হয়। গত ২৫ মে নাশকতার অভিযোগে লালবাগ থানার এক মামলায় মোহাম্মদ মাসুম ও ইব্রাহিম কাজীকে হাজির করা হয়। গত ৬ মার্চ কামরাঙ্গীরচর থানায় করা একটি মামলায় পাঁচজনকে হাজির করা হয়।

ডেমরা থানায় গত ২২ মে করা একটি মামলায় ৬ জনকে হাজির করা হয় এবং ওই থানার আরেকটি মামলায় অপর ৬জনকে আদালতে হাজির করা হয়। যাত্রাবাড়ী থানায় করা একটি মামলায়ও ৬ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। কদমতলী থানার একটি মামলায় হাজির করা হয় দুজনকে। এ ছাড়া শ্যামপুর থানায় করা এক মামলায় দুজনকে আদালতে হাজির করা হয়।

আরও পড়ুন

×