তদবির ও হয়রানি মুক্ত সরকারি পরিষেবা নিশ্চিৎ করতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কাজ করছে। এ লক্ষে ঢাকাসহ সারাদেশের সরকারি অফিসে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বুধবার আন্তর্জাতিক এন্টিকরাপশন অ্যান্ড গভার্ননেন্স বিশেষজ্ঞ ক্যারেন হুসমানের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে চেয়ারম্যান এ কথা বলেন। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ওই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিনিধিদলের সদস্যদের উদ্দেশ্য করে ইকবাল মাহমুদ বলেন, রেফারেন্স থাকলে প্রিফারেন্স পাওয়া যায়- এই সংস্কৃতির অবসানের জন্যই কমিশন পল্লী অঞ্চলে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫টি দুর্নীতিবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে। এর মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ যাতে তদবিরমুক্তভাবে তাদের সরকারি পরিষেবা পেতে পারে সে বিষয়েই কমিশন কাজ করছে।

দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ আরও বলেন, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে দুদক আইনি প্রক্রিয়ায় কার্যকর ভূমিকা পালন করে। কমিশন দুর্নীতি দমনের পাশাপাশি প্রতিরোধ, সরকারি পরিষেবা প্রদানে বিজনেস প্রসেস রি-ইঞ্জিনিয়ারিং ও তৃণমূল পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকল্পে গণশুনানিসহ বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি দুদক উন্নয়ন সহযোগী বা কোনো সংস্থার কাছে কখনই কোনো আর্থিক সহায়তা চায় না, কমিশন চায় জ্ঞান, দক্ষতা, কৌশল, অভিজ্ঞতা ও দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষা উপকরণ।

প্রতিনিধি দলের সদস্যের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদক শুধু চুঁনোপুটি কিংবা মধ্যম মানের দুর্নীতিবাজদের ধরছে না বরং অনেক রুই-কাতলাকেও ধরছে। আমলা, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ যার বিরুদ্ধেই অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে তাকেই জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। এখন আর কেউ নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে ভাবার সাহস পাচ্ছেন না।

তিনি বলেন, দুদকের মামলায় অনেক রুই-কাতলা কারাগারে আছেন, অনেকে আদালতে বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন, অনেককেই দুদকে এসে জবাবদিহি করতে হচ্ছে। আরো অনেককেই আসতে হবে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুদক প্রতিরোধ অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল।