দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য নিরাপদ খাদ্য ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিশ্চিত করা বর্তমান সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নানা কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে কৃষিজমি কমে যাওয়ায় খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে সরকার সারের মূল্য হ্রাস করেছে। সহজে কৃষি ঋণ বিতরণ, গবেষণায় অগ্রাধিকার ও প্রণোদনা দেওয়ার ফলে দেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম (বিসিজেএফ) আয়োজিত 'জলবায়ু পরিবর্তন : খাদ্য নিরাপত্তা, নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তায় করণীয়' শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

আইডিইবির সভাপতি একেএমএ হামিদের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল মুঈদ। আলোচক ছিলেন হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. মো. সেলিম উদ্দিন, অর্থনীতিবিদ ড. মো. এএম আসাদুজ্জামান, কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক মো. আসাদুল্লাহ। সংগঠনের সভাপতি কাওসার রহমানের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাজী দানেশ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাত হোসেন সরকার। স্বাগত বক্তব্য দেন বিসিজেএফের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বের অন্যতম সমস্যা। ভৌগোলিক অবস্থান ও প্রাকৃতিক কারণে জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ষষ্ঠ অবস্থানে। দেশে তাপমাত্রা ও মাটির লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, খরা ইত্যাদির কারণে শুধু কৃষিই নয়, মানুষের চিরচেনা স্বাভাবিক জীবনপ্রবাহই ব্যাহত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন পুরোপুরি রোধ করা যায় না। তবে লাগসই প্রযুক্তি ও কৌশল ব্যবহারের ফলে খাদ্য নিরাপত্তা কিছুটা নিশ্চিত করা যায়। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।