- রাজধানী
- খুঁজে খুঁজে প্রকৃত অসহায়দের ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিলেন তারা
খুঁজে খুঁজে প্রকৃত অসহায়দের ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিলেন তারা

এক্টিভ সেভেন্টিন ফাউন্ডেশনের সদস্যরা
নিজের প্রকৃত বয়স বলতে পারেন না আব্দুল কাদির, শুধু জানালেন বয়স ৭০ বছর পার হয়ে গেছে। কিন্তু সন্তানরা দায়িত্ব না নেওয়ায় এই বয়সেও রিকশা চালিয়ে জীবন নির্বাহ করতে হয় তাকে। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে রাজধানীর আদাবরের ১৭/বি এলাকায় একটি ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করেন কাদির। বৃদ্ধ বয়সে রিকশা চালাতে কষ্ট হলেও খেয়ে-পরে দু‘জনের জীবন চলে যাচ্ছিল। কিন্তু সারা বিশ্বে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে এখন আর রিকশা নিয়ে বের হতে পারেন না কাদির, এদিকে ঘরেও কোনো খাবার। এমন অবস্থায় বেঁচে থাকায় দায় হয়ে পড়েছিল এই দম্পতির।
প্রতিবেশীর মাধ্যমে তাদের এই করুণ অবস্থার খবর পায় ত্রাণ বিতরণের উদ্দেশে তরুণদের গড়ে তোলা সংগঠন এক্টিভ সেভেন্টিন ফাউন্ডেশন। পরে বৃহস্পতিবার রাতে আবদুল কাদিরের ঘরে হাজির হয় এক্টিভ সেভেন্টিন ফাউন্ডেশনের সদস্যরা। সঙ্গে নিয়ে যায় ৫ কেজি চাল, সোয়া ২ কেজি আটা, ১ কেজি পেঁয়াজ, ১ টা সাবান, আধা কেজি লবণ, আধা কেজি ডাল ও আধা লিটার তেল। তাই আপাতত কয়েকদিনের খাবার নিয়ে নিশ্চিন্ত আব্দুল কাদির ও তার স্ত্রী।
শুধু আব্দুল কাদির নয়, বৃহস্পতিবার রাতে আদাবর থানা এলাকায় এমন ১০৩টি পরিবারের ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে সংগঠনটি। তেমনই একজন মো. হাফিজুল। পেশায় দিনজুর হাফিজুলের পরিবারের ৫ সদস্য। দিন এনে দিন খাওয়া হাফিজুলের কাজ বন্ধ কয়েকদিন। কাজ থাকলে খাবারও জোটে না তার। অবশেষে তরুণদের দেওয়া খাদ্যসামগ্রী পেয়ে হাসি ফুটেছে হাফিজুলের পরিবারে।
সংগঠনের আহ্বায়ক দ্বিন ইসলাম রিপন জানান, তারা কয়েকজন তরুণ মিলে করোনার সঙ্কটকালে বিপদগ্রস্ত মানুষের সেবার উদ্দেশে সংগঠননি গড়ে তুলেছেন। তাদের এই কাজে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে এসেছেন এলাকার সামর্থ্যবানরাও। তারা খুঁজে খুঁজে প্রকৃত অসহায় ও দুঃস্থদের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি সংগঠনের সদস্যরা এলাকার রাস্তাঘাট পরিষ্কার ও সেগুলোতে জীবানুনাশক ছিটানোর কাজ করছেন।
মন্তব্য করুন