করোনাভাইরাসের সংকটকালেও অসাধু ব্যবসায়ীদের অপকর্ম থেমে নেই। তারা পণ্যের মূল্য শুধু বেশিই রাখছে না, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা দ্বিগুনের চেয়েও বেশি মূল্যে বিক্রি করছে।

বুধবার রাজধানীর শ্যামবাজারে এমনই একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মাদ শাহরিয়ারের নেতৃত্বে শ্যামবাজারে‘ফয়সাল এন্টারপ্রাইজ’ নামক প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়।

পরে মঞ্জুর শাহরিয়ার জানান, ওই প্রতিষ্ঠানের মূল্য তালিকায় আদার দাম কেজি প্রতি ২৩৫ টাকা লেখা ছিল। তাদের কাছে ক্রয় মূল্যের রশিদ অর্থাৎ কেজি প্রতি কত টাকা পড়েছে সেটি দেখতে চাওয়া হলে তা প্রদর্শন করতে পারেননি। তারা জানান চট্টগ্রামের আমদানিকারক তাদের ২৩৫ টাকা কেজি বিক্রয় করার কথা বলেছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘উক্ত আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের কাছে মোবাইল ফোনে গত কয়েক দিনের এলসি সর্বোচ্চ মূল্য ৯৭ টাকার আদা কিভাবে ২৩৫ টাকায় বিক্রি করেন তার ব্যাখ্যা চাওয়া হলে জানাতে পারেনি। পরে মোবাইলে কথোপকথনের এক পর্যায়ে উক্ত প্রতিষ্ঠান ফয়সাল এন্টারপ্রাইজকে ১২০ টাকা কেজিতে আদা বিক্রি করতে বলা হয়েছে বলে জানায়। অর্থাৎ কেজিতে ১১৫ টাকা কমে গেছে।’

মূল্য বেশি রাখার কারণে ‘ফয়সাল এন্টারপ্রাইস’কে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পরে একই অভিযোগে একই বাজারের মেসার্স আয়নাল এন্ড সন্সকে ৫ হাজার টাকা এবং মিরপুর শাহ আলী পাইকারি বাজারে দশটি প্রতিষ্ঠানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। খবর: ইউএনবি