রাজধানীতে এক রাতে পৃথক স্থানে পুলিশ ও র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দু’জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে খিলগাঁওয়ের শেখের জায়গা ও বনানীর টিঅ্যান্ডটি মাঠ এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।

পুলিশ বলছে, নিহত বেলাল হোসেন (২৯) হত্যাচেষ্টা-ডাকাতি-ছিনতাইসহ ১৬টি মামলার আসামি ছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেপ্তারের পর রাতে তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে গেলে তার পলাতক সহযোগীদের সঙ্গে পুলিশের গুলি বিনিময় হয়। অন্যদিকে র‌্যাব জানায়, নিহত আবদুল জলিল (৪৫) চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, তার বিরুদ্ধে অন্তত ১৬টি মাদক মামলা আছে।

খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান সমকালকে বলেন, বেলাল ওরফে বিল্লাল এলাকায় চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জিনিসপত্র ছিনতাই করত। এজন্য তার নাম হয় ‘চাপাতি বিল্লাল’। দুর্ধর্ষ এই সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। অনেকদিন ধরেই তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছিল। এর একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে খিলগাঁওয়ের গোড়ান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, শেখের জায়গা এলাকায় তার অবৈধ অস্ত্র-গুলি লুকানো আছে। এরপর রাত ১১টার দিকে তাকে সঙ্গে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে যায় পুলিশ। সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় সহযোগীদের গুলিতে আহত হয় বেলাল। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও একটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত বেলালের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে। তিনি ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে থাকতেন বলে জানা গেছে।

র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১: বনানীর টিঅ্যান্ডটি মাঠ সংলগ্ন বটতলা এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আবদুল জলিল নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের এ ঘটনায় র‌্যাবের এক সদস্য আহত হয়েছেন।

র‌্যাব-১ এর কর্মকর্তা এএসপি কামরুজ্জামান জানান, গোপনসূত্রে টিঅ্যান্ডটি বটতলা এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের অবস্থানের খবর পেয়ে অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকে এবং তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে নিহতের পরিচয় জানা যায়। তিনি কড়াইল বস্তি এলাকার মাদক ব্যবসার অন্যতম নিয়ন্ত্রক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় ১৬টি মাদক মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দু’টি বিদেশি পিস্তল, দু’টি ম্যাগজিন, ১১ রাউন্ড গুলি ও ৫০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জানান জানান, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী জলিল দীর্ঘদিন পলাতক ছিল। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছিল।