মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশের (সিএএবি) উদ্যোগে মালয়েশিয়ায় আটকা পড়ে থাকা ১৬০ বাংলাদেশিকে বুধবার সকালে দেশে ফিরিয়ে এনেছে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের সহযোগী প্রতিষ্ঠান-জিডি অ্যাসিস্ট।

চলমান করোনা মহামারিতে মালয়েশিয়াতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের এটিই প্রথম এবং বৃহত্তম প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া। একটি মৃতদেহসহ ১৬০ বাংলাদেশিকে নিয়ে একটি বিমান বুধবার ঢাকায় পৌঁছে।

আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে নিয়ে আসা চার্টার ফ্লাইটটি ওইদিন দুপুরে হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। গত মাসে জিডি অ্যাসিস্টের সহযোগিতায় ব্যাংকক থেকে ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশিদের মত এবারের ফ্লাইটেও ১৬০ বাংলাদেশির সাথে একটি মৃতদেহ আসে।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মালয়েশিয়ায় আটকা থাকা বাংলাদেশিরা দেশে ফেরত আসার জন্য মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের সাথে যোগাযোগ করে। জিডি অ্যাসিস্ট মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশের হাইকমিশনের মাধ্যমে এই বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করে। আর ঠিক আগের বারের মতোই, বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় অনুমতি পাওয়ার জন্য জিডি অ্যাসিস্ট ভূমিকা পালন করে।

জিডি অ্যাসিস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মঈনউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘জিডি অ্যাসিস্ট গর্বিত যে এই করোনা-বিড়ম্বনার সময়কালে আটকা থাকা বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।’

বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের তাৎক্ষণিক সমর্থন ও সহায়তার জন্য, বিশেষ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এমওএফএ), মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাই কমিশন, এবং সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষকে (সিএএবি) তিনি ধন্যবাদ জানান।

মঈনউদ্দীন আহমেদ আরো বলেন, “আটকে পড়া দেশবাসীকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় অনুমোদনের পরে জিডি অ্যাসিস্ট কুয়ালালামপুরের দুইটি বিখ্যাত হাসপাতালে সমস্ত যাত্রীদের কোভিড-১৯ স্ক্রিনিং পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেছে।”

গ্রীন ডেল্টা ইনস্যুরেন্সের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জিডি অ্যাসিস্ট বাংলাদেশের বৃহত্তম স্বাস্থ্যসেবা পরিচালনা সংস্থা। সংস্থাটি বাংলাদেশে মেডিকেল ট্যুরিজম নিয়ে কাজ করছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

বিষয় : জিডি অ্যাসিস্ট গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সে মালয়েশিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশি

মন্তব্য করুন