- রাজধানী
- করোনায় আরেক ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু
করোনায় আরেক ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু

প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এবার সরকারি ব্যাংকের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। রাজধানীর কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি মারা যান। তার নাম মো. শহিদুল ইসলাম রিপন (৪৯)। তিনি রাষ্ট্রীয় মালিকানার রূপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ব্যাংকের পক্ষ থেকে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এর আগে বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের দুই কর্মকর্তা মারা যান। তারা হলেন- প্রধান কার্যালয়ের সেন্ট্রাল ক্লিয়ারিং বিভাগের অ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট পদ মর্যাদার এ কর্মকর্তা আবু সাঈদ এবং প্রধান কার্যালয়ের মানবসম্পদ বিভাগে কর্মরত এফভিপি মুজতবা শহিরয়ার। এ ছাড়া শ্বাসকষ্ট, সর্দি-জ্বরসহ করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে বেসরকারি খাতের এনসিসি ব্যাংকের চট্রগ্রামের দুই কর্মকর্তা মারা গেছেন। তাদের একজন আগ্রাবাদ এরিয়া অফিস ও অপরজন আগ্রাবাদ শাখায় কর্মরত ছিলেন।
রূপালী ব্যাংকের প্রয়াত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের গোপালপুর। তিনি প্রধান কার্যালয়ের পরিকল্পনা ও গবেষণা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তিনি এক ছেলে, এক মেয়ে, স্ত্রীসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু বান্ধব রেখে গেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হবে। তবে কোথায় দাফন হবে তা এখনও জানা যায়নি।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু ব্যাংকারদের স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কোনো ব্যাংক কর্মকর্তা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে পদক্রম অনুযায়ী ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা পাবেন। আর কেউ মারা গেলে তার পরিবার ৫ গুণ টাকা পাবেন।
সাধারণ ছুটির মধ্যে বেশিরভাগ অফিস বন্ধ থাকলেও শুরু থেকেই ব্যাংক লেনদেন চলছে। প্রথম দিকে সীমিত আকারে ব্যাংক লেনদেন চললেও ধীরে-ধীরে লেনদেনের সীমা ও পরিধি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন অন্যসব রমজান মাসের মতো আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেন হচ্ছে। আর ব্যাংক খোলা থাকছে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত। এছাড়া শিল্পঘন এলাকা, ঢাকার মতিঝিল-দিলকুশা ও চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ-আগ্রাবাদে অবস্থিত সব শাখা খোলা রাখতে হচ্ছে। অনলাইন ব্যাংকিং নেই এরকম ব্যাংকের সারা দেশের সব শাখা এবং অনলাইন সুবিধা থাকা ব্যাংকের প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় অন্তত একটি করে শাখা খোলা রাখতে হচ্ছে।
মন্তব্য করুন