জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন বলেছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশের ১৯ জেলার রেড জোনে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। রাজধানী ঢাকায়ও খুব শিগগিরই বেশকিছু এলাকা রেড জোন ঘোষণা করে সাধারণ ছুটি দেওয়া হবে। বুধবার সমকালকে এ কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'করোনা ভাইরাসে অধিক সংক্রমিত রাজধানীর ছোট ছোট এলাকাগুলোকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে সাধারণ ছুটি ঘোষণার জন্য সরকার কাজ করছে। বর্তমানে করোনা সংক্রমণ সংক্রান্ত ম্যাপিং করে ছোট ছোট এলাকা চিহ্নিত করার কাজ চলছে। খুব শিগগিরিই ঢাকার রেড জোন ঘোষণা করে সাধারণ ছুটি দেওয়া হবে।'

সরকারি চাকরির জন্য বয়সসীমা বিষয়ে তিনি  বলেন, 'দেশে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে যাদের সরকারি চাকরির বয়স পার হয়েছে, তাদের বিষয়টি বিবেচনা করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।'

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী সমকালকে আরও বলেন, 'ঢাকায় অনেক সরকারি-বেসরকারি অফিস, অনেক কলকারখানা আছে। ঢাকা অনেক জটিল জায়গা। আমাদের কাজ চলছে, কাজ থেমে নেই। মানুষকে যতোটা পারা যায় স্বস্তিতে রেখে, ছোট ছোট করে রেড জোন ঘোষণা করা হবে। যেখানে সংক্রমণ বেশি সেখানে ছুটি দেওয়া হবে। সে পরিকল্পনা নিয়ে টেকনিক্যাল কমিটি কাজ করছে। ধাপে ধাপে রেড জোন ঘোষণা ও সাধারণ ছুটি হবে।' 

তিনি বলেন, 'কোন এলাকায় কতজন আক্রান্ত, সেটার ম্যাপিং আমাদের কাছে আছে। আশপাশের কতটা বাড়িতে কতজন আক্রান্ত তার তথ্য আছে। ঢাকায় অযথা মানুষকে আটকে রাখবো কেন। ধরুন, আশেপাশের ১০/২০ বা ৪০টা বাড়ি- এভাবে করা হবে।' 

গত ১২ জুন থেকে পরীক্ষামূলকভাবে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারকে রেড জোন ঘোষণা করে সেখানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। রেড জোন ঘোষণার প্রক্রিয়া নিয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, 'সিভিল সার্জন তার এলাকা যাচাই করবেন। এরপর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে আলাপ করবেন। একই সঙ্গে সংসদ সদস্যসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ করবেন। সিদ্ধান্তে আসার পর তারা স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুমতি চাইবে। স্বাস্থ্য অধিদফতর অনুমতি দিলে তারা আমাদের কাছে ছুটি ঘোষণার জন্য আবেদন জানাবে। এরপর আমরা ছুটি ঘোষণা করবো।'

ঢাকায় রেড জোন হিসেবে ৪৫টি এলাকার নাম সংবাদমাধ্যমে এলেও এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা আসেনি জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমরা এরিয়া ডিমার্কিং করছি। সেই ডিমারকেশন চূড়ান্ত হলে সেটা ঘোষণা করা হবে। এরপর সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হবে।'