রাজধানীর বাড্ডার আফতাবনগরের এক বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- খন্দকার জিয়াউর রহমান ওরফে রফিকুল আলম ওরফে মশিউর মিশু, ফয়সাল, আল আমিন ও রানা হোসেন। তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত মালপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে মহাখালী ও আগারগাঁও থেকে অজ্ঞান-মলম পার্টি এবং ডাকাতদলের ১২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-২।

বাড্ডা থানার ওসি পারভেজ ইসলাম জানান, ১০ জুলাই রাতে আফতাবনগরের দুই নম্বর সড়কের একটি বাসায় ডাকাতি হয়। এ ঘটনায় বাড্ডা থানায় মামলা হয়। তদন্তকালে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। 

ওসি জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে লুন্ঠিত দু’টি ল্যাপটপ, দু’টি আইফোন, দু’টি সাধারণ মোবাইল ফোন, একটি রাউটার, এক জোড়া স্বর্ণের চুড়ি, এক জোড়া গোল্ড প্লেটের বালা, রূপা ও ইমিটেশন মিশ্রিত একটি গলার হার, এক জোড়া কানের দুল, অনেকগুলো ইমিটেশনের গহনা, নগদ চার হাজার টাকা, একটি দা ও দু’টি চাকু পাওয়া গেছে। 

এদিকে মহাখালী ও আগারগাঁও এলাকায় পৃথক অভিযানে অজ্ঞান-মলম পার্টি এবং ডাকাতদলের ১২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-২। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মহাখালী রেল ক্রসিং থেকে অজ্ঞান পার্টির ছয়জনকে ধরা হয়। তারা হলেন- রুবেল, উজ্জল ওরফে শুকুর, সাদ্দাম হোসেন, জলিল, রানা শেখ ও বিল্লাল হোসেন। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান চেতনানাশক ওষুধ, মলম ও টাইগার বাম জব্দ করা হয়। 

একইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে অপর অভিযানে আগারগাঁওয়ের জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সামনে থেকে ডাকাতদলের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-২। তারা হলেন- সাগর সরদার, সুমন, হাসেম, হোসেন মিলন, সুজন ও খোকন। তাদের কাছে দেশীয় অস্ত্র পাওয়া গেছে।