রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সন্দেহভাজন এক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। তবে শুক্রবার রাত পর্যন্ত তার পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি বন্দুক ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। 

মোহাম্মদপুর থানার ডিউটি অফিসার এসআই তারেক জাহান বৃহস্পতিবার রাতে সমকালকে বলেন, ‘নিহত সন্ত্রাসীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে তার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। নেওয়া হচ্ছে প্রযুক্তির সহায়তা। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।’

পুলিশ সূত্র জানায়, গত ৩০ জুন মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোড এলাকা থেকে ৩৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ডিবি পরিচয়ে ছিনতাইয়ে জড়িত চক্রের হোতা হিসেবে জহিরের নাম জানায়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্ত জহিরকে গ্রেপ্তারে বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে বছিলা এলাকায় অভিযান চালায় মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। এ সময় পুলিশের অবস্থান বুঝতে পেরে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। দুই পক্ষের গোলাগুলির একপর্যায়ে একজন গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানার চার পুলিশ সদস্যও গুরুতর আহত হয়েছেন। 

এ ব্যাপারে জানতে মোহাম্মদপুর থানার ওসির সঙ্গে মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সাড়া মেলেনি।

এর আগে ৩০ জুন মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোড থেকে ডিবি পরিচয়ে জোবায়ের আহমেদ খান নামে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের এক ডিলারকে তুলে নেয় দুর্বৃত্তরা। গাড়িতে তোলার পরপরই তার কাছে থাকা ৩৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে খিলক্ষেতের তিনশ’ ফুট সড়কে তাকে ফেলে যায় ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় ৭ জুলাই মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন জোবায়ের। এরপর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সন্দেহভাজন একজনকে শনাক্ত করে পুলিশ। সোমবার চক্রের সদস্য জুয়েল রানাকে বরিশাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে মঙ্গলবার কামরাঙ্গীরচর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আরেক সদস্য ইলিয়াসকে। তাদের কাছ থেকে লুন্ঠিত ৫ লাখ ৩৯ হাজার টাকা, তিনটি ডিবি জ্যাকেট, একটি ওয়্যারলেস ও একটি হাতকড়া উদ্ধার করা হয়।