- রাজধানী
- পল্টনে ৫৭ লাখ জাল টাকা ও বিপুল সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার ৫
পল্টনে ৫৭ লাখ জাল টাকা ও বিপুল সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার ৫

প্রতীকী ছবি
রাজধানীর ব্যস্ত এলাকা পল্টনে একটি ভবনের দু'টি তলা ভাড়া নিয়ে জাল টাকা তৈরির কারখানা চালু করেছিল একটি চক্র। এক তলায় তৈরি হত জাল টাকার জন্য বিশেষ ধরনের কাগজ, অন্য তলায় তা ছাপা হতো। এভাবে প্রায় ১০ কোটি জাল টাকা ছাপার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল তারা। এরমধ্যেই শুক্রবার সেখানে হানা দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল। ৫৭ লাখ জাল টাকা ও তৈরির বিপুল সরঞ্জামসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান সমকালকে বলেন, প্রতি বছর কোরাবনির ঈদের আগে সাধারণত জাল টাকার কারবার বেড়ে যায়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তাদের ঠেকাতে তৎপর থাকে। তবে এবার করোনার কারণে চিত্র ছিল কিছুটা ভিন্ন। এ সুযোগে তারা ঈদের পর বিশাল পরিসরে জাল টাকা তৈরি শুরু করেছিল।
ডিবি সূত্র জানায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দক্ষিণে পুরানা পল্টন লেনের ২৫/২ নম্বর ভবনের পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় জাল টাকার কারবার চলছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে তৈরি করা জাল টাকা ছাড়াও প্রায় পাঁচ কোটি টাকা তৈরির মতো সামগ্রী পাওয়া গেছে। অভিযানে জাল টাকার বিশেষ কাগজ তৈরিকারক, ছাপানোর দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি, ব্যবস্থাপক ও বিপণনে জড়িত চার পুরুষ এবং এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই কারখানার অর্থদাতা শাহিন একাধিক মামলার আসামি। গ্রেপ্তারকৃতরা এর আগেও একাধিক মামলায় কারাগারে ছিল। তাদের মধ্যে হান্নান টাকা ছাপানো, কাওসার বিশেষ কাগজ তৈরি, ইব্রাহিম টাকা সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া ও আরিফ ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করত। তাদের সহযোগী ছিল খুশি।
অভিযান সংশ্নিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, দেড় মাস ধরে চক্রটি এই কারখানায় জাল টাকা তৈরি করছিল। প্রতিদিন সর্বোচ্চ পাঁচ ও সর্বনিম্ন তিন লাখ টাকা তৈরির টার্গেট নিয়ে তারা কাজ করত। প্রতি বান্ডিলে থাকে এক লাখ টাকা। এরকম একটি বান্ডিল ৯-১৩ হাজার টাকায় বিভিন্ন জেলায় পাইকারি বিক্রি করা হত। আর পাইকারী বিক্রেতার কাছ থেকে আরও কিছুটা বেশি দামে কিনত খুচরা বিক্রেতারা। মূলত তারাই ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে টাকাগুলো বাজারে ছড়িয়ে দিত।
মন্তব্য করুন