দুবাইয়ে নারী পাচারের অভিযোগে নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার ইভান শাহরিয়ার সোহাগকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গত বৃহস্পতিবার রাতে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগ রাজধানীর নিকেতন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। ইভান একজন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া নৃত্যশিল্পী। এ ছাড়া তিনি 'ড্যান্স ট্রুপ' নামে একটি ড্যান্স কোম্পানির কর্ণধার। বিভিন্ন করপোরেট অনুষ্ঠানে নাচ করে তার দল। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও কোরিওগ্রাফার হিসেবে কাজ করেন তিনি।

সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা সমকালকে বলেন, লালবাগ থানার একটি মানব পাচার মামলায় ইভান শাহরিয়ার সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই মামলায় দুবাইয়ে নৃত্যশিল্পীর আড়ালে নারী পাচারের ঘটনায় আগেই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে তিনজন জিজ্ঞাসাবাদে ও আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে নারী পাচারে ইভানের জড়িত থাকার তথ্য জানায়।

সিআইডি জানায়, দুবাই পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতে গত আগস্টে আজম খানসহ তার নারী পাচারকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তারা জবানবন্দিতে বলেছে, এই চক্র মূলত 'নৃত্যকেন্দ্রিক'। কয়েকজন নৃত্য সংগঠক ও শিল্পী এই নেটওয়ার্কের অংশ। ছোটখাটো নৃত্য ক্লাব বা প্রতিষ্ঠানের যেসব নৃত্যশিল্পী গায়ে হলুদসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে নাচ করেন, তাদের নানা প্রলোভনে এই চক্রটি দুবাইতে পাঠাত। এরপর সেখানে নানা অসামাজিক কাজে বাধ্য করা হতো।

সিআইডির একজন কর্মকর্তা জানান, পাচারের শিকার নারীদের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে গত জুলাইয়ে সিআইডির পক্ষ থেকে লালবাগ থানায় একটি মামলা করা হয়। এতে পাচারকারী আজম খান ও তার দুই ভাই, আল আমিন হোসেন ওরফে ডায়মন্ড, মো. স্বপন হোসেন, নির্মল দাস, আলমগীর, আমান ও শুভকে আসামি করা হয়।

ওই সময়ে সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, আজম খানসহ মামলার আসামিরা দুবাইয়ের হোটেল ও ড্যান্স বারে নারীদের যৌনকর্মে বাধ্য করত। এই তিনজনের প্রতিনিধিরা দেশের বিভিন্ন নাচের ক্লাব বা সংগঠন থেকে মেয়েদের সংগ্রহ করে কাজ দেওয়ার নামে তাদের দুবাই পাঠাচ্ছিল।