করোনা পরিস্থিতিতেও দেশের রপ্তানি আয় ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

মঙ্গলবার রাতে ইউএস চেম্বার অফ কমার্স আয়োজিত 'বাংলাদেশ অগ্রসরমান: জ্বালানি উন্নয়ন ও সহযোগিতার ভবিষ্যত' শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় 'বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের জন্য ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গি' বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউএস চেম্বার অব কমার্সের সহযোগিতায় ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ব্র্যান্ডিং’ আয়োজন করা যেতে পারে। বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ। বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রকোপেও ২০১৯-২০ অর্থবছরেও জিডিপি ৫.২৪% অর্জিত হয়। রপ্তানি আয় ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তিনি বলেন, দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির এই দেশে অবকাঠামো, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, স্বাস্থ্য সেবা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রভৃতি খাত তড়িৎ গতিতে বড় থেকে বড় আকার ধারণ করছে। বিনিয়োগের জন্য এসব খাত সম্ভাবনাময়।

গ্লোবাল মার্কেটস বিষয়ক সহকারী সচিব ও মহাপরিচালক,  বিদেশি বাণিজ্যিক পরিষেবা,  মার্কিণ বাণিজ্য বিভাগ আয়ান স্টেফ,  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ জ্বালানি সহযোগিতানিয়ে আলোচনা করেন।

তেল ও এলএনজি নিয়ে আমেরিকান ব্যবসায়ীদের আগ্রহের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জ্বালানি ব্যবসায় সহযোগিতা বৃদ্ধি করা হবে। বিদ্যুৎও জ্বালানির বিভিন্ন বিষয়ে কর্মকর্তাদের জন্য ইন্টার্নশিপ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণ করা যেতে পারে।

এসময় তিনি,  আগামী বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিতব্য ইনভেস্টমেন্ট সামিট-এ অংশ গ্রহণ করার জন্য বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।

বাংলাদেশে নিযুক্ত আমেরিকান রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার,  জ্বালানি সহযোগিতার কৌশলগত গুরুত্ব নিয়ে বক্তব্য দেন।

ইউএস চেম্বার অফ কমার্স-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নিশা বিসালের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বিদ্যুৎ সচিব ড. সুলতান আহমেদ সংযুক্ত থেকে দেন।