- রাজধানী
- ভাটারায় স্ত্রীকে হত্যার পর গলা কেটে স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা
ভাটারায় স্ত্রীকে হত্যার পর গলা কেটে স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা

প্রতীকী ছবি
রাজধানীর ভাটারার একটি বাসায় মনিরা দালবৎ (২৭) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার পর নিজের গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন তার স্বামী দিলীপ মারাক। মঙ্গলবার গভীর রাতে ভাটারার ঢালিবাড়ী বালুরমাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় দিলীপকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
ভাটারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল হক সমকালকে বলেন, দাম্পত্য কলহের জের ধরে এই হত্যা ও আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় মনিরার বোন ঝর্ণা দালবৎ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। তদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, মনিরার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার বালিগাঁও এলাকায়। তার বাবা মৃত এডিওয়াট ডং। তারা খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। বর্তমানে মনিরা তার স্বামীর সঙ্গে ঢালিবাড়ী বালুরমাঠ এলাকার জনৈক বাবুলের টিনসেড বাসায় থাকতেন। তাদের ১২ বছরের মেয়ে খুশি নানীর বাড়িতে থাকে। দিলীপ মারাক পেশায় অটোরিকশা চালক। অভাব-অনটনের সংসারে প্রায়ই কলহ লেগে থাকত। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতেও এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এর জের ধরেই রাত ১টার দিকে দিলীপ মশলা পেষায় ব্যবহূত পাটার শিল দিয়ে স্ত্রীর মাথা-কপালসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত শিল ও আত্মহত্যা চেষ্টায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
ভাটারা থানা পুলিশ জানায়, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত আড়াইটার দিকে মনিরাকে মৃত ও দিলীপকে আহত অবস্থায় পায় পুলিশ। বুধবার দুপুরে মনিরার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। আর রাতেই দিলীপকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। সেরে উঠলে তাকে স্ত্রী হত্যার দায়ে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করবে পুলিশ।
তদন্ত সংশ্নিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, চিকিৎসাধীন থাকায় দিলীপকে ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি। তবে এখন পর্যন্ত তদন্তে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত, আলামত ও প্রতিবেশীদের বর্ণনা অনুযায়ী, হত্যায় দিলীপ ছাড়া আর কারও সম্পৃক্ততা ছিল না। তারপরও তদন্তে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এর আগে ২৭ আগস্ট গভীর রাতে রাজধানীর নাখালপাড়ায় একটি বেসরকারি সংস্থার কার্যালয়ে স্বামী-স্ত্রীর লাশ পাওয়া যায়। এরমধ্যে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছিল মাছ বিক্রেতা আজমতের নিথর দেহ, অন্যদিকে মেঝেতে পড়ে ছিল তার স্ত্রী ফারজানার রক্তাক্ত লাশ। পুলিশ জানায়, দাম্পত্য কলহের জের ধরে স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেন আজমত। পরদিন সকালে পুলিশ দরজার তালা ভেঙে দু'জনের লাশ উদ্ধার করে।
মন্তব্য করুন