ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের বেওয়ারিশ কুকুর অপসারণ কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। শুক্রবার অনলাইন ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

কুকুর অপসারণে ইঁদুর ও প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, কুকুর ও মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। অবিলম্বে কুকুরের বন্ধ্যাকরণ এবং টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রাণী কল্যাণ আইন ২০১৯ এর সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। নগরের প্রাণ প্রকৃতি এবং মানুষ কীভাবে সহাবস্থান করতে পারে তার একটি সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।

তরুণদের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ও সংরক্ষণে উদ্বুদ্ধ এবং উৎসাহী করতে প্রয়োজনে জাতীয়ভাবে কর্মসূচি নেওয়ার জোর দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, ইতোমধ্যেই স্থানান্তরিত কুকুরগুলোকে তাদের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে হবে। জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধ এবং কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা মোতাবেক পদক্ষেপ নিতে হবে।

বাপার সহ-সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে এবং বাপা পরিবেশ স্বাস্থ্যবিষয়ক কমিটির সদস্য সচিব বিধান চন্দ্র পালের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য দেন বাপার যুগ্ম সম্পাদক শারমীন মুরশিদ এবং স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাপার নির্বাহী সহ-সভাপতি ডা.  মো. আব্দুল মতিন; বন, জীববৈচিত্র, প্রাকৃতিক সম্পদ ও জ্বালানীবিষয়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ফরিদ উদ্দিন, বাপার যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর কবির, নির্বাহী সদস্য আতাউর রহমান মিটন ও একেএম মিজানুর রহমান, অরণ্য ফাউন্ডেশনের রুবাইয়া আহমেদ ও রকিবুল হক প্রমুখ।

শারমিন মুরশিদ বলেন, ডিএসসিসি থেকে কুকুর অপসারণের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ‘প্রাণি কল্যাণ আইন, ২০১৯’ অনুযায়ী এই কার্যক্রম সম্পূর্ণ বেআইনি। কুকুর আপসারণ নয়, জলাতঙ্ক টিকা ও বন্ধ্যাত্মকরণ কর্মসূচি চালু করতে হবে।

উধাহরণ তুলে ধরে শারমিন বলেন, ‘১৯৯৪ সালে ভারতের একটি শহরে বিপুল সংখ্যাক কুকুর নিধন করার কারণে ইঁদুরের প্রকোপ ও প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। টিকা দিয়ে জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব কিন্তু প্লেগ রোগ টিকা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। অন্যান্য মেগা সিটির তুলনায় ঢাকা শহরে পোষা প্রাণীর সংখ্যা অনেক কম।’