- রাজধানী
- পরিচালককে অবরুদ্ধ করে মানসিক স্বাস্থ্য হাসপাতালে বিক্ষোভ
পরিচালককে অবরুদ্ধ করে মানসিক স্বাস্থ্য হাসপাতালে বিক্ষোভ

পুলিশের সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিম হত্যা মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়ার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে।
চিকিৎসকরা ডা. মামুনের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে বুধবার সকাল থেকে হাসপাতালের পরিচালক বিধান রঞ্জন রায় ও সিনিয়র চিকিৎসকদের অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করছে। এতে হাসপাতালটিতে জরুরি সেবা বন্ধ রয়েছে। খবর বিবিসি বাংলার
হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলছেন, যে প্রক্রিয়ায় একজন চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে তা অগ্রহণযোগ্য।
ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে মঙ্গলবার হাসপাতাল সংলগ্ন বাসা থেকে আটক করে পুলিশ। তাকে আটকের খবর দিয়ে পুলিশের তেজগাঁও জোনের ডিসি হারুন অর রশীদ সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, আনিসুল করিম হত্যা মামলায় এফআইআরভুক্ত ১৫ জনের মধ্যে মোট ১২ জনকে এ পর্যন্ত আটক করা গেছে। এদের মধ্যে চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবারই ডা. মামুনকে আদালতে উপস্থাপন করা হলে তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ডা. মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ- তিনি মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটে আসা রোগীদের ঢাকার আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে পাঠাতেন।
গত ৯ নভেম্বর মাইন্ড এইড হাসপাতালেই চিকিৎসা করতে গিয়ে মারা যান পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিম। পরে হাসপাতালের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে তাতে দেখা যায় একদল ব্যক্তি মিস্টার করিম ওই হাসপাতালে যাওয়ার পর তাকে একটি রুমে নিয়ে মারধর করছেন। অভিযোগ ওঠে- মারধরের সময় পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুলের মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, ভিডিও ফুটেজে যারা আনিসুল করিমকে টেনে হিঁচড়ে ওই কামরাটিতে নিয়ে যায় তারা কেউই চিকিৎসক ছিলেন না। এদের মধ্যে চার জন ওয়ার্ড বয়, দুজন সমন্বয়কারী, আর কয়েকজন পরিচ্ছন্নকর্মী ছিল।
এদেরকেসহ মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তারের কথা পুলিশ গত ১০ নভেম্বর জানিয়েছিল, যাদের মধ্যে হাসপাতালটির একজন পরিচালক ডা. নিয়াজ মোর্শেদও রয়েছেন। এদের মধ্যে ১০ জনকে আদালতে হাজির করার পর আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিমের মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা ফয়েজ উদ্দিন বাদী হয়ে আদাবর থানায় হত্যা মামলা করেছিলেন।
মন্তব্য করুন