আজ ১৬ ডিসেম্বর, বাঙালির বিজয়ের দিন। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্ব মানচিত্রে ঠাঁই পেয়েছিল লাল–সবুজের বাংলাদেশ। আনন্দের সেই দিন উদযাপনে বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরেই জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে শিশু-বৃদ্ধসহ সব বয়সী মানুষের ঢল নেমেছে। শীত উপেক্ষা করে পরিবার, বন্ধুদের নিয়ে দলবেঁধে সবাই বিজয়ের উল্লাসে মেতেছেন। মানুষের ভিড়ে সংসদ ভবনের সামনের রাস্তায় থেমে থেমে হচ্ছে যানজটও।

বিজয় দিবস উপলক্ষে সংসদ ভবনকে সাজানো হয়েছে বর্ণিলসাজে। পুরো ভবনে লেগেছে লাল-সবুজের আলোকচ্ছটা। ভবনের সামনের সিঁড়িতে লাল আর সবুজ রঙের আলোয় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মানচিত্র-জাতীয় পতাকাসহ বিভিন্ন অবয়ব। সামনের বিশাল মাঠটিও সেজেছে বিভিন্ন আলোয়। মাঠের এক কোণে বর্ণিল আলোয় সাজানো হয়েছে মুজিবর্ষের লোগো।


সংসদ ভবনকে পেছনে রেখে মাঠের সীমানা প্রাচীরের বাইরে দাঁড়িয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মুঠোফোনে সেলফি তুলছিলেন জুবায়েদ আল মাসুম। বেসরকারি চাকরিজীবী মাসুম স্ত্রী ও তিন বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে এসেছেন মোহাম্মপুর থেকে।

মাসুম বলেন, আজ আমাদের সবচেয়ে গৌরবের দিন। এই দিনেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমপর্ণ করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। সেই বিজয় অনেকের সঙ্গে উতযাপনেই স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি।

মিরপুর থেকে বন্ধুদের সঙ্গে এসেছেন শাহীনুল সজিব। তিনি বলেন, প্রতি বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরেই সংসদ ভবনে আসি। একসঙ্গে অনেক মানুষের উপস্থিতি দেখে বিজয়ের আনন্দ অনেক বেড়ে যায়। তবে তার মতে অন্যান্যবারের তুলনায় এবার মানুষের সংখ্যা অনেক কম।

সজিবের সঙ্গে একমত রায়ের বাজার থেকে আসা মো. সেন্টু। তিনি বলেন, এবার করোনার কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হননি। তাই অন্যান্য সময়ের চেয়ে ভিড় কিছুটা কম।