বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পাক্ষিক আলোর মিছিল পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খোন্দকার আতাউল হক আর নেই। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি---রাজেউন) তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।

প্রবীণ এই সাংবাদিক জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ১৩ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তার করোনা পরীক্ষায় 'পজিটিভ' ফলাফল আসে। শ্বাসকষ্টজনিত রোগেও ভুগছিলেন তিনি।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্ব্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বুধবার গার্ড অব অনার এবং জানাজা শেষে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে তাকে।

সাংবাদিক আতাউল হক ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ছাত্র থাকাকালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সক্রিয় নেতা ছিলেন। ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলনে তিনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেন তিনি। নিজ এলাকা ফরিদপুরে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ফরিদপুরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলকদের অন্যতম। মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবহুল ইতিহাস তুলে ধরার লক্ষ্যে সম্প্রতি একটি বই লেখার কাজে সম্পৃক্ত হন তিনি।

স্বাধীনতা উত্তরকালে জাসদে যোগ দেন আতাউল হক। জন্ম দেন ফরিদপুর জেলা কমিটির। তিনি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সাংবাদিকতা জীবনে দৈনিক নব অভিযান পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ছাড়াও বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করেছেন তিনি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য ও ফরিদপুর জার্নালিষ্ট ফাউন্ডেশনের (এফজেএফডি) উপদেষ্টা ছিলেন তিনি।

তার মৃত্যুতে পৃথক বিবৃতিতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, ফরিদপুর জার্নালিষ্ট ফাউন্ডেশনের (এফজেএফডি) সভাপতি অমরেশ রায়, সাধারণ সম্পাদক আছাদুজ্জামান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক জোটের সভাপতি মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোশারেফ হোসেন মন্টু, মুক্তিযোদ্ধা ও আগরতলা মামলার অভিযুক্ত নূর মোহাম্মদ (ক্যাপ্টেন বাবুল), মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু এবং সাবেক ফরিদপুর জেলা কমান্ডার আবুল ফয়েজ শাহনেওয়াজ।