ঢাকা শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

কর্মজীবী নারীর মতবিনিময় সভায় তথ্য

করোনায় পেশা পাল্টেছেন ১০.২ শতাংশ নারী

করোনায় পেশা পাল্টেছেন ১০.২ শতাংশ নারী

ছবি: ফাইল

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৩ | ০১:০১ | আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৩ | ০১:০১

করোনা মহামারীর অভিঘাতের পরের সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে নারী শ্রমিকের সংখ্যা কমে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে বেড়েছে। আবার কভিডের কারণে পেশা পরিবর্তন করেছেন ১০.২ শতাংশ নারী। বিভিন্ন এলাকার ৬৯৫ জন নারীর মধ্যে চালানো এক সমীক্ষায় দেখা যায়, তাদের মধ্যে ২০০ জন করোনার আগে গার্মেন্টে কাজ করতেন। কিন্তু করোনার পরে ১৩৩ জন আর কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারেননি। অপরদিকে এই ৬৯৫ জনের মধ্যে গৃহশ্রমিকের সংখ্যা ছিল ২৫৮ জন; যা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২৭ জনে।

গতকাল বুধবার রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনের আজিমুর রহমান কনফারেন্স হলে কর্মজীবী নারী আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থাপিত এক ধারণাপত্রে এসব তথ্য জানান কর্মজীবী নারীর প্রকল্প সমন্বয়ক রিনা আমেনা। কর্মজীবী নারীর সহসভাপতি উম্মে হাসান ঝলমলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন এমপি শামীম হায়দার পাটোয়ারী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন এমপি আরমা দত্ত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মোস্তাফিজ আহমেদ, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন প্রমুখ।

ধারণাপত্রে উল্লেখ করা হয়, যে ৬৯৫ জন নারীর ওপর সমীক্ষা চালানো হয় করোনার প্রকোপের আগে তাদের গড় আয় ছিল ৮ হাজার ২০৮ টাকা। বর্তমানে তাদের গড় আয় নেমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৪৪০ টাকায়। এ ছাড়া দেশের ৬০.৭ শতাংশ নারী জীবনযাপনের দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে ঋণ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬২.৪ শতাংশ সেই ঋণের বোঝা এখনও বহন করছেন।

এমপি শামীম হায়দার বলেন, ঝুঁকি কমাতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এক কোটি নারীর জন্য সরকারি সুরক্ষা স্কিম চালু করা প্রয়োজন। মূল্যস্ফীতির এই সময়ে সবার জন্য সর্বজনীন রেশনের ব্যবস্থা চালু করার প্রস্তাব দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘শ্রম আইন শ্রমিকের পক্ষে হতে হবে। কভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সবার জন্য একটি জাতীয় মজুরি কাঠামো নির্ধারণ করা সময়ের দাবি।’

অধ্যাপক মোস্তাফিজ বলেন, ‘গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ৮৬ শতাংশ নারী তাঁর জীবনকে অর্থহীন মনে করেন। তাদের এই হতাশা আমাদের জন্য দুঃখজনক। কীভাবে প্রাতিষ্ঠানিক খাত থেকে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নারী শ্রমিকের স্থানান্তর হচ্ছে এবং কীভাবে তা নারী শ্রমিকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে সেটি নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।’

সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোস্তফা মাহমুদ সারোয়ার বলেন, ‘বিভিন্ন ভাতা তুলতে গিয়ে ভাতাগ্রহীতাদের ঘুষ দিতে হয়েছে। সিপিডির এমন একটি প্রতিবেদনকে আমরা অগ্রাহ্য করতে পারিনি। স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যানরা এ অর্থ নিয়েছেন। অফিসের খরচ দেখিয়ে এ অর্থ নেওয়া হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সে টাকা উদ্ধার করে দিয়েছি। প্রতিবন্ধী ভাতা শতভাগ হয়েছে, সামনে আরও বাড়বে।’


আরও পড়ুন

×