ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩

‘মানুষ ও প্রকৃতি’ নিয়ে চিত্র প্রদর্শনী  

‘মানুষ ও প্রকৃতি’ নিয়ে চিত্র প্রদর্শনী  

শনিবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডি-৪ সফিউদ্দিন শিল্পালয়ে চিত্রপ্রদর্শনী উদ্বোধন করা হয়। ছবি: সমকাল

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক 

প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৩ | ২১:২৩ | আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | ০৩:২৩

গ্রামীণ দুই বধূ পুকুরে থালাবাসন ধুচ্ছেন, অথবা উঠোনে ধান রোদে শুকাচ্ছেন। এক নারী কিংবা কৃষক মাঠে ধান বুনছেন, নদীতে মাছ ধরছেন কেউ– এরকম গ্রামীণ দৃশ্য, বনাঞ্চল, প্রকৃতি-পরিবেশ বিষয়ে নানা শিল্পকর্ম নিয়ে শিল্পী আলফা বেগমের সপ্তাহব্যাপী প্রথম একক চিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে রাজধানীর ধানমন্ডিতে। ‘মানুষ ও প্রকৃতির কাব্য: প্রথম সোলো অ্যাক্সিবিশন ২০২৩’ শীর্ষক প্রদর্শনীটি শনিবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডি-৪ সফিউদ্দিন শিল্পালয়ে উদ্বোধন করা হয়। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এটি চলবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার অধ্যাপক আবুল বারক আলভীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির, বিশেষ অতিথি ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল। শিল্পী শামীম আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে কথা বলেন শিল্পী আলফা বেগম। 
খুশী কবির বলেন, আলফাকে আমি দেখেছি কলেজে থাকাকালে। আমি তখন চতুর্থ বর্ষে, তারা প্রথম বর্ষে এসেছে। আলফার নাম তখনই খুব শোনা যেত। তার কাজের আলাদা গুণ ছিল। তার কাজে এক ধরনের ব্যাপকতা রয়েছে। স্বাভাবিক প্রতিদিনের দৃশ্যগুলো সে খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছে।
সুলতানা কামাল বলেন, আমি ছবিগুলো ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম– চিত্রগুলোতে বেশ বৈচিত্র্য আছে। আলফা নানা উপজীব্য নিয়ে এঁকেছে। মনুপ্রিন্টসহ বিভিন্ন রকম কাজ করেছে। নানা বিষয়বস্তু যেমন স্থান পেয়েছে, তেমনি চিত্রগুলোর নামগুলোও বেশ সুন্দর। হাঁস-মুরগি বসে আছে, এমন ছবির নাম দিয়েছে ‘অবসর’। 
আবুল বারক আলভী বলেন, এটি শিল্পী আলফা বেগমের প্রথম একক চিত্র প্রদর্শনী। এর বেশির ভাগ কাজ তেল রঙে করা। উডকাট, মনোমিতা, কলোগ্রাফি মাধ্যমেও বেশ কিছু কাজ আছে। আমি আশা করি, এ প্রদর্শনী সবার ভালো লাগবে। যেহেতু এটি শিল্পীর প্রথম একক চিত্র প্রদর্শনী, ছবির সংখ্যাও অনেক। 
আলফা বেগম বলেন, মায়ের হাত ধরে ছবি জগতে তাঁর প্রবেশ। শৈশব থেকেই মাটির পুতুল আর আঁকাআঁকির সঙ্গে পরিচয়। প্রকৃতি আর মানুষের কর্মময় জীবনের ছবি আঁকতে ভালোবাসেন। তাই ছবিতে প্রকৃতি ও মানুষের কর্মময় জীবন ফিরে ফিরে আসে। তিনি বলেন, জলরং-এ খুব কম ছবি এঁকেছেন। ছাপচিত্রে এক রকম হাতেখড়ি হয়েছে। তবুও চেষ্টা করেছেন ছাপচিত্রে মানুষের জীবন ফুটিয়ে তুলতে। 

আরও পড়ুন