- রাজধানী
- ঢাকার দুই সিটির ৩ ওয়ার্ডে এডিস মশা বেশি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপ
ঢাকার দুই সিটির ৩ ওয়ার্ডে এডিস মশা বেশি

প্রতীকী ছবি
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩ ও ১৬ নম্বর এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে এডিস মশার উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি। মিরপুর ১০ ও ১১ নম্বর সেকশন এলাকা নিয়ে ৩ নম্বর এবং গুলশান, বনানী ও নিকেতন এলাকা নিয়ে ডিএনসিসির ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তৃতি। আর পুরান ঢাকার রাধিকামোহন বসাক লেন, আওলাদ হোসেন লেন, কোর্ট হাউস স্ট্রিট, শাঁখারীবাজার ও রায়সাহেব বাজার এলাকা নিয়ে ডিএসসিসির ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তার। এই তিন ওয়ার্ডে মশার ঘনত্ব পরিমাপের সূচক (ব্রুটো ইনডেপ-বিআই) ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল এবং এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির এক জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। রোববার রাজধানীর মহাখালীর নিপসম মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। জানানো হয়, গত ১৮ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৯৮টি ওয়ার্ডের ১০০ স্থানে জরিপ চলে। সংশ্নিষ্ট এলাকার তিন হাজার বাড়ি জরিপের আওতায় আসে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১২৪টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। দুই হাজার ৮৭৬ বাড়িতে তা পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া, ডিএনসিসির ১৯ এবং ডিএসসিসির ৩৭টি স্থানের ব্রুটো ইনডেপ ১০-এর নিচে। তবে ব্রুটো ইনডেপ শূন্য পাওয়া গেছে ডিএনসিসির ১৪ এবং ডিএসসিসির ১৬টি স্থানে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ৫১ দশমিক ৩৪ শতাংশ বহুতল ভবনে এডিস মশার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এ ছাড়া, ২০ দশমিক ৩২ নির্মাণাধীন ভবন, ১২ দশমিক ৮৩ বস্তি এলাকা, ১২ দশমিক ৫৭ একক ভবন এবং ২ দশমিক ৯৮ শতাংশ খালি জমিতে এডিস মশার উপস্থিতি মিলেছে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল এবং এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আফসানা আলমগীর খান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। স্বাস্থ্য অধিপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা) ও লাইন ডিরেক্টর (সিডিসি) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা, নিপসমের পরিচালক অধ্যাপক বায়জিদ খুরশিদ রিয়াজ, আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়েদুর রহমান ও ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরিফ আহমেদ।
মন্তব্য করুন