- রাজধানী
- রাজধানীতে মশার দৌরাত্ম্য বেড়েছে চার গুণ
রাজধানীতে মশার দৌরাত্ম্য বেড়েছে চার গুণ
অতিষ্ঠ নগরবাসী নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আশঙ্কা

গত বছরের ৩১ মার্চ গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে দেশের ৬৪টি জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছুটা বিদ্রুপের সুরেই বলেছিলেন, 'কালকে যখন ঘুমাতে গেলাম তখন মাঝেমধ্যেই মশা সংগীত চর্চা করছে। মশার গান শুনলাম। গুন গুন করে কানের কাছে বেশ গান গাচ্ছিল।'
ওই অনুষ্ঠানে ঢাকার একজন মেয়রও সংযুক্ত ছিলেন। তারপর রাজধানীতে মশার যন্ত্রণা বেশ নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু শীত মৌসুম শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীতে মশার দৌরাত্ম্য ব্যাপকভাবে বেড়েছে। নগরবাসী মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ইতোমধ্যে মশা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অভিযান শুরু করলেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পক্ষ থেকে রুটিন কার্যক্রম ছাড়া বিশেষ কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে মশার দৌরাত্ম্য কমছে না।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও মশক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক কবিরুল বাশার সমকালকে বলেন, এখন কিউলেক্স মশার দৌরাত্ম্য বেড়েছে, এডিস মশা নয়। এই মশার দৌরাত্ম্য বাড়ার পেছনে কয়েকটি কারণ আছে। অনেক দিন বৃষ্টিপাত নেই। ফলে পানি পচে গেছে। পানিতে অর্গানিক উপকরণ বেড়েছে। এ কারণে মশার খাবারও বেড়েছে। আবার শীত শেষে যখন তাপমাত্রা বাড়ে, তখন মশার বংশবিস্তারের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এসব কারণেই মশার দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এ জন্য আগেই সিটি করপোরেশনগুলোকে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। তিনি বলেন, তার সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, ইতোমধ্যে মশার ঘনত্ব চার গুণ বেড়েছে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে আগামী মার্চে মশার দৌরাত্ম্য চরমে পৌঁছাবে।
মশার দৌরাত্ম্য সম্পর্কে ৫২১-৫২২ পশ্চিম শেওড়াপাড়ার শামিম সরণির বাসিন্দা সৈয়দ লিয়াকত হোসেন বলেন, বেশ কিছুদিন হলো মশার যন্ত্রণা চরম আকার ধারণ করেছে। সন্ধ্যা হতেই জানালা দিয়ে মশা হুড়হুড় করে ঢুকে পড়ে। এ জন্য তিনি দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখেন। তার পরও মশাকে ঠেকানো যায় না। প্রায় একই কথা বলেন
মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন। তিনি জানান, বেশ কয়েক মাস ধরে ওই এলাকায় মশা মারার কোনো ওষুধ ছিটাতে দেখেননি তিনি। এ কারণেই মশা বেড়েছে।
পশ্চিম রামপুরার ওয়াপদা রোডের ৯৩ আদি লেনের বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, মশার যন্ত্রণা চরম আকার ধারণ করেছে। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম বলেন, সেখানে বরাবরই মশার যন্ত্রণা বেশি। তবে এবার যে রকম দেখছেন, অতীতে এত মশা তিনি কখনোই দেখেননি। মশার জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠেছে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা।
মগবাজারের ৬৩৮ পেয়ারাবাগের গৃহবধূ নিশাত সাবেরা বলেন, পাঁচতলার ওপর থেকেও মশার যন্ত্রণার কমতি দেখছেন না। বিশেষ করে স্কুলপড়ূয়া মেয়েকে নিয়ে খুব ভয়ে থাকেন। মগবাজারের ৩৭৩ দিলু রোডের বাসিন্দা তালেয়া বেগম বলেন, প্রতিদিন বিকেল হতেই কয়েল জ্বালিয়ে রাখছেন। তার পরও মশার গান শুনতে হচ্ছে। এ ছাড়া রাজধানীর গুলশান, বনানী, বারিধারা, তেজগাঁও, ধানমন্ডি, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, খিলক্ষেত, বাসাবো, কদমতলী, পুরান ঢাকাসহ নগরীর প্রায় প্রতিটি এলাকার বাসিন্দাই এখন মশা আতঙ্কে ভুগছেন।
এ বিষয়ে বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, বর্তমানে মশার মৌসুম চলছে। এ জন্য আগেভাগেই মশক নিধনের জন্য বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা জরুরি ছিল। তাহলে মশার বিস্তার রোধ করা যেত। তাহলে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার ঝুঁকিও কমতো।
জানা গেছে, মশার দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণে গত শনিবার থেকে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান শুরু করেছে ডিএনসিসি। বিমানবন্দর এলাকার মশা নিয়ন্ত্রণে শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে একটি আধুনিক ফগার মেশিনও দিয়েছে ডিএনসিসি।
এ ছাড়া প্রতিদিনের অভিযানে যেসব ভবনে মশার লার্ভা ও বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যাচ্ছে, সেসব ভবন মালিককে জরিমানাও করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবারও পাঁচ ভবন মালিককে ৮১ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত। আগের দিন বুধবারও ১৫ ভবন মালিককে ৯১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান বলেন, তাদের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে দুটি জরিপ করা হয়েছে। এতে মশা বেড়ে যাওয়ার প্রমাণ মেলেনি। তার পরও কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশেষ সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। এই অভিযানের পর মশা কমে আসবে।
এদিকে মশার দৌরাত্ম্য বাড়লেও ডিএসসিসির পক্ষ থেকে নৈমিত্তিক কার্যক্রম ছাড়া বাড়তি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে ডিএসসিসির প্রধান ভান্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা আলীমুন রাজীব বলছেন, মশার ওষুধের কোনো ঘাটতি নেই। এক বছরের ওষুধের ক্রয় কার্যাদেশ দেওয়া আছে। কর্তৃপক্ষের কাছেও মশার ওষুধ মজুদ আছে। এর বাইরে যখনই ওষুধ প্রয়োজন হবে, তখনই সরবরাহ প্রতিষ্ঠান ওষুধ সরবরাহ করবে। আর মশার বিশেষ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে নেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে ডিএসসিসির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মীর মুস্তাফিজুর রহমান কোনো কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি এ ব্যাপারে জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছেরের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। আবু নাছের এ প্রসঙ্গে বলেন, মশক নিধনে কাজ চলছে না, তা বলা যাবে না। যেসব স্থানে মশার বংশবিস্তার হয়, সেসব জলাশয়ে প্রায় প্রতিদিনই অভিযান চলছে। এ ছাড়া নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম চলছে। পাশাপাশি নগরবাসীকেও এ ব্যাপারে সচেতন ও সক্রিয় হওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
ওই অনুষ্ঠানে ঢাকার একজন মেয়রও সংযুক্ত ছিলেন। তারপর রাজধানীতে মশার যন্ত্রণা বেশ নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু শীত মৌসুম শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীতে মশার দৌরাত্ম্য ব্যাপকভাবে বেড়েছে। নগরবাসী মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ইতোমধ্যে মশা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অভিযান শুরু করলেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পক্ষ থেকে রুটিন কার্যক্রম ছাড়া বিশেষ কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে মশার দৌরাত্ম্য কমছে না।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও মশক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক কবিরুল বাশার সমকালকে বলেন, এখন কিউলেক্স মশার দৌরাত্ম্য বেড়েছে, এডিস মশা নয়। এই মশার দৌরাত্ম্য বাড়ার পেছনে কয়েকটি কারণ আছে। অনেক দিন বৃষ্টিপাত নেই। ফলে পানি পচে গেছে। পানিতে অর্গানিক উপকরণ বেড়েছে। এ কারণে মশার খাবারও বেড়েছে। আবার শীত শেষে যখন তাপমাত্রা বাড়ে, তখন মশার বংশবিস্তারের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এসব কারণেই মশার দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এ জন্য আগেই সিটি করপোরেশনগুলোকে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। তিনি বলেন, তার সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, ইতোমধ্যে মশার ঘনত্ব চার গুণ বেড়েছে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে আগামী মার্চে মশার দৌরাত্ম্য চরমে পৌঁছাবে।
মশার দৌরাত্ম্য সম্পর্কে ৫২১-৫২২ পশ্চিম শেওড়াপাড়ার শামিম সরণির বাসিন্দা সৈয়দ লিয়াকত হোসেন বলেন, বেশ কিছুদিন হলো মশার যন্ত্রণা চরম আকার ধারণ করেছে। সন্ধ্যা হতেই জানালা দিয়ে মশা হুড়হুড় করে ঢুকে পড়ে। এ জন্য তিনি দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখেন। তার পরও মশাকে ঠেকানো যায় না। প্রায় একই কথা বলেন
মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন। তিনি জানান, বেশ কয়েক মাস ধরে ওই এলাকায় মশা মারার কোনো ওষুধ ছিটাতে দেখেননি তিনি। এ কারণেই মশা বেড়েছে।
পশ্চিম রামপুরার ওয়াপদা রোডের ৯৩ আদি লেনের বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, মশার যন্ত্রণা চরম আকার ধারণ করেছে। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম বলেন, সেখানে বরাবরই মশার যন্ত্রণা বেশি। তবে এবার যে রকম দেখছেন, অতীতে এত মশা তিনি কখনোই দেখেননি। মশার জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠেছে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা।
মগবাজারের ৬৩৮ পেয়ারাবাগের গৃহবধূ নিশাত সাবেরা বলেন, পাঁচতলার ওপর থেকেও মশার যন্ত্রণার কমতি দেখছেন না। বিশেষ করে স্কুলপড়ূয়া মেয়েকে নিয়ে খুব ভয়ে থাকেন। মগবাজারের ৩৭৩ দিলু রোডের বাসিন্দা তালেয়া বেগম বলেন, প্রতিদিন বিকেল হতেই কয়েল জ্বালিয়ে রাখছেন। তার পরও মশার গান শুনতে হচ্ছে। এ ছাড়া রাজধানীর গুলশান, বনানী, বারিধারা, তেজগাঁও, ধানমন্ডি, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, খিলক্ষেত, বাসাবো, কদমতলী, পুরান ঢাকাসহ নগরীর প্রায় প্রতিটি এলাকার বাসিন্দাই এখন মশা আতঙ্কে ভুগছেন।
এ বিষয়ে বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, বর্তমানে মশার মৌসুম চলছে। এ জন্য আগেভাগেই মশক নিধনের জন্য বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা জরুরি ছিল। তাহলে মশার বিস্তার রোধ করা যেত। তাহলে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার ঝুঁকিও কমতো।
জানা গেছে, মশার দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণে গত শনিবার থেকে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান শুরু করেছে ডিএনসিসি। বিমানবন্দর এলাকার মশা নিয়ন্ত্রণে শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে একটি আধুনিক ফগার মেশিনও দিয়েছে ডিএনসিসি।
এ ছাড়া প্রতিদিনের অভিযানে যেসব ভবনে মশার লার্ভা ও বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যাচ্ছে, সেসব ভবন মালিককে জরিমানাও করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবারও পাঁচ ভবন মালিককে ৮১ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত। আগের দিন বুধবারও ১৫ ভবন মালিককে ৯১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান বলেন, তাদের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে দুটি জরিপ করা হয়েছে। এতে মশা বেড়ে যাওয়ার প্রমাণ মেলেনি। তার পরও কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশেষ সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। এই অভিযানের পর মশা কমে আসবে।
এদিকে মশার দৌরাত্ম্য বাড়লেও ডিএসসিসির পক্ষ থেকে নৈমিত্তিক কার্যক্রম ছাড়া বাড়তি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে ডিএসসিসির প্রধান ভান্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা আলীমুন রাজীব বলছেন, মশার ওষুধের কোনো ঘাটতি নেই। এক বছরের ওষুধের ক্রয় কার্যাদেশ দেওয়া আছে। কর্তৃপক্ষের কাছেও মশার ওষুধ মজুদ আছে। এর বাইরে যখনই ওষুধ প্রয়োজন হবে, তখনই সরবরাহ প্রতিষ্ঠান ওষুধ সরবরাহ করবে। আর মশার বিশেষ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে নেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে ডিএসসিসির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মীর মুস্তাফিজুর রহমান কোনো কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি এ ব্যাপারে জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছেরের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। আবু নাছের এ প্রসঙ্গে বলেন, মশক নিধনে কাজ চলছে না, তা বলা যাবে না। যেসব স্থানে মশার বংশবিস্তার হয়, সেসব জলাশয়ে প্রায় প্রতিদিনই অভিযান চলছে। এ ছাড়া নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম চলছে। পাশাপাশি নগরবাসীকেও এ ব্যাপারে সচেতন ও সক্রিয় হওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন