প্রায় দুই সপ্তাহ তাপপ্রবাহের মধ্যে বৈশাখের শেষে প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও ঝড়-বৃষ্টির দাপট শুরু হয়েছে। এতে গত কয়েক দিনে কমেছে তাপমাত্রা। বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাঙ্গামাটিতে ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় কিছুটা স্বস্তি নিয়ে এসেছে দুদিনের ছিটেফোঁটা বৃষ্টি। বৃষ্টির প্রভাব এখনও আছে। আগের মতো রোদ নেই। আকাশও রয়েছে গুমোট। দুপুরের পর থেকে গুমোট ভাবটা আরও বেড়েছে। এ অবস্থায় রাত ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে ঢাকায় ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

অবশ্য বুধবার সন্ধ্যার আগে থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়। রাতেও দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও হতে পারে শিলাবৃষ্টি।

আবাহওয়া অধিদপ্তর বুধবার রাত ৮টায় ফেসবুক পেইজে জানিয়েছে, খুলনা, যশোর, নড়াইল, মাদারীপুর, ফরিদপুর, বরিশাল, ভোলা, চাঁদপুর, ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলসমূহ দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়ার অধিদফতরের আবাহওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হাসান রাত পৌনে ১০টার দিকে জানান, রাত ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে ঢাকায় ঝড়-বৃষ্টি শুরু হতে পারে। ইতোমধ্যে রাজশাহীর কিছু অংশ, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, পদ্মানদীর পাশে, মানিকগঞ্জের দিকেও বৃষ্টি হচ্ছে। একইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে মোংলায় ১১ মিলিমিটার।

সার্বিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।