- রাজধানী
- রাজধানীতে পুলিশের সাথে 'গোলাগুলিতে' দুই ছিনতাইকারী নিহত
রাজধানীতে পুলিশের সাথে 'গোলাগুলিতে' দুই ছিনতাইকারী নিহত

গ্রেপ্তার হওয়া সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তি ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর খিলক্ষেতে পুলিশের সঙ্গে 'গোলাগুলি'তে দুই ছিনতাইকারী নিহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার রাত দুইটা থেকে আড়াইটার মধ্যে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
ডিবির গুলশান বিভাগের উপ কমিশনার মশিউর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার রাত আড়াইটার দিকে খিলক্ষেত এলাকায় পুলিশের একটি সম্বনিত দলের সঙ্গে সশস্ত্র ছিনতাইকারী দলের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে। গোলাগুলি শেষে উপস্থিত জনতার সহায়তায় পুলিশ একটি সবুজ রঙের সিএনজিসহ দুইজন ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। এছাড়া দুজন দুর্বৃত্তকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত দুজনের নাম রাসেল ও এনামুল। তাদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি সিএনজি অটোরিকশা, একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ভর্তি একটি ম্যাগাজিন, কাঠের বাটযুক্ত একটি পুরানো ধারালো ছুরি, দুইটি টাইগার বাম, একটি সবুজ রঙের গামছা, নয়টি স্মার্ট এবং বাটন মোবাইল, ১৬ পিচ ইয়াবা, একটি লাইটার এবং নগদ ৫০০০ টাকা উদ্ধার করেছে।
ডিবি গুলশান বিভাগ জানায়, গত রাতে তাদের একাধিক টিম খিলক্ষেত থানা-পুলিশের সঙ্গে টহল দিচ্ছিল। ডিবি পুলিশের একটি দল কাওলা হয়ে পূর্বাচলগামী ফ্লাইওভারের প্রবেশমুখে, দ্বিতীয় দলটি পূর্বগামী ফ্লাইওভারের মাঝে অবস্থান নিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছিল। রাত সোয়া দুইটার দিকে কাওলা থেকে বিশ্বরোডের দিকে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা যাচ্ছিল। পুলিশ যানটিকে থামার সংকেত দিলে সেটি দ্রুতবেগে ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে পূর্বাচলের দিকে পালিয়ে যাচ্ছিল। ফ্লাইওভারে থাকা পুলিশ সতর্কসংকেত পেয়ে মাইক্রোবাস দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করে। একপর্যায়ে অটোরিকশা থেকে দুই দুর্বৃত্ত নেমে দৌড়ে সামনে যেতে থাকে এবং পুলিশের মাইক্রোবাস লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও গুলিবিনিময় হয়। পরে অটোরিকশা থেকে দুজনকে জীবিত অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়। কিছু দূরে ফ্লাইওভারের ওপর দুজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
গ্রেপ্তার দুইজনের নাম নয়ন এবং ইয়ামিন।
গ্রেপ্তারদের বরাত দিয়ে উপ কমিশনার মশিউর রহমান জানান, তারা মূলত অটোরিকশায় যাত্রী তুলে তাদের সর্বস্ব ছিনিয়ে নেন। ভিকটিম জোরাজুরি করলে গামছা দিয়ে তাকে ফাঁস দিয়ে হত্যা করে মরদেহ ফেলে দিত। নিহত ও গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ছিনতাই, ডাকাতিসহ একাধিক মামলার আসামি। তারা সবাই মাদকাসক্ত বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন