- রাজধানী
- বাবা ফিরবে না- বোঝার বয়সই হলো না শিশুটির
মগবাজারে বিস্ম্ফোরণ
বাবা ফিরবে না- বোঝার বয়সই হলো না শিশুটির

রুহুল আমিন নোমানের শিশুকন্যা নুহা আর কোনো দিন পাবে না বাবার আদর স্নেহ - সংগৃহীত
ছোট্ট নুহা। বয়স দুই বছর। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। দিনভর থাকে মায়ের সঙ্গে, রাতে বাবা বাসায় ফিরলেই ছুটে চলে আসে কোলে। খুনসুটিতে মেতে ওঠে বাবার সঙ্গে। কিন্তু আর কখনও বাবা রুহুল আমিন নোমান ফিরবেন না। কোলে নিয়ে আদর করবেন না মেয়েকে। শিশুটি জানেই না তার বাবা ফিরবে না আর। বাবার মৃত্যু হয়েছে- সেটা বোঝার বয়সও হয়নি তার। এই বয়সেই একটি বিস্ম্ফোরণ চিরদিনের জন্য পিতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত করে দিল নুহাকে
গত রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর মগবাজারে ভয়াবহ বিস্ম্ফোরণে প্রাণ হারান রুহুল আমিন নোমান (৩২)। ঘটনার সময় তিনি বাসে ছিলেন নাকি হেঁটে মগবাজার মোড়ে কর্মস্থলে ফিরছিলেন তা জানে না কেউ। প্রথমে তার নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। অজ্ঞাত লাশ হিসেবে ছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় নোমানের দুলাভাই মাহফুজুর রহমান মর্গে লাশ শনাক্ত করেন।
মাহফুজুর রহমান সমকালকে জানান, নোমান মগবাজার মোড়ে একটি আইটি ফার্মে চাকরি করতেন। স্ত্রী নাবিলা ও একমাত্র সন্তান নুহাকে নিয়ে শাহজাহানপুরে ভাড়া থাকতেন। নোমানের গ্রামের বাড়ি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি। তার বাবা-মা গ্রামের বাড়িতেই থাকেন। দুই বোনের একমাত্র ভাই নোমান। সবার ছোটো হওয়ায় পরিবারের সবার খুব আদরের ছিলেন তিনি। তার মৃত্যুর খবর সহ্য করতে পারবে না ভেবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাবা-মা, বোন ও স্ত্রীকে জানানো হয়নি। পরে নোমানের সহকর্মীদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরিবারকে জানানো হয় বিষয়টি। ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে গ্রামের বাড়িতে বাবা-মা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। স্ত্রী আর্তনাদ করছেন। মূর্ছা যাচ্ছেন বারবার। মাহফুজুর বলেন, ছোট্ট নুহা জানে না তার বাবা মারা গেছে। সে বারবার জিজ্ঞাসা করছে, তার আব্বু কখন বাসায় ফিরবে। বাবাকে না পেয়ে কান্নাকাটি করছে শিশুটি।
নোমানের সহকর্মী মইনুল ইসলাম জানান, অফিসের কাজে নোমান যাত্রাবাড়ী গিয়েছিলেন। সন্ধ্যায় তার অফিসে ফেরার কথা ছিল। ফোনে ৬টা ৩৮ মিনিটে এক সহকর্মীর সঙ্গে নোমানের কথা হয়। তখন তিনি জানিয়েছিলেন কাছাকাছি চলে এসেছেন। এর কিছুক্ষণ পরই মগবাজারে বিস্ম্ফোরণ ঘটে। বিকট শব্দ অফিসে বসেই সহকর্মীরা শুনতে পান। পরে বেরিয়ে জানতে পারেন হতাহতের ঘটনা। সঙ্গে সঙ্গে নোমানের ফোনে কল করেন তিনি। ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে তাকে খুঁজতে থাকেন সহকর্মীরা। তিনি জানান, নোমান বাসে ছিলেন নাকি হেঁটে আসছিলেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি রওনা হন স্বজনরা।
গত রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর মগবাজারে ভয়াবহ বিস্ম্ফোরণে প্রাণ হারান রুহুল আমিন নোমান (৩২)। ঘটনার সময় তিনি বাসে ছিলেন নাকি হেঁটে মগবাজার মোড়ে কর্মস্থলে ফিরছিলেন তা জানে না কেউ। প্রথমে তার নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। অজ্ঞাত লাশ হিসেবে ছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় নোমানের দুলাভাই মাহফুজুর রহমান মর্গে লাশ শনাক্ত করেন।
মাহফুজুর রহমান সমকালকে জানান, নোমান মগবাজার মোড়ে একটি আইটি ফার্মে চাকরি করতেন। স্ত্রী নাবিলা ও একমাত্র সন্তান নুহাকে নিয়ে শাহজাহানপুরে ভাড়া থাকতেন। নোমানের গ্রামের বাড়ি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি। তার বাবা-মা গ্রামের বাড়িতেই থাকেন। দুই বোনের একমাত্র ভাই নোমান। সবার ছোটো হওয়ায় পরিবারের সবার খুব আদরের ছিলেন তিনি। তার মৃত্যুর খবর সহ্য করতে পারবে না ভেবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাবা-মা, বোন ও স্ত্রীকে জানানো হয়নি। পরে নোমানের সহকর্মীদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরিবারকে জানানো হয় বিষয়টি। ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে গ্রামের বাড়িতে বাবা-মা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। স্ত্রী আর্তনাদ করছেন। মূর্ছা যাচ্ছেন বারবার। মাহফুজুর বলেন, ছোট্ট নুহা জানে না তার বাবা মারা গেছে। সে বারবার জিজ্ঞাসা করছে, তার আব্বু কখন বাসায় ফিরবে। বাবাকে না পেয়ে কান্নাকাটি করছে শিশুটি।
নোমানের সহকর্মী মইনুল ইসলাম জানান, অফিসের কাজে নোমান যাত্রাবাড়ী গিয়েছিলেন। সন্ধ্যায় তার অফিসে ফেরার কথা ছিল। ফোনে ৬টা ৩৮ মিনিটে এক সহকর্মীর সঙ্গে নোমানের কথা হয়। তখন তিনি জানিয়েছিলেন কাছাকাছি চলে এসেছেন। এর কিছুক্ষণ পরই মগবাজারে বিস্ম্ফোরণ ঘটে। বিকট শব্দ অফিসে বসেই সহকর্মীরা শুনতে পান। পরে বেরিয়ে জানতে পারেন হতাহতের ঘটনা। সঙ্গে সঙ্গে নোমানের ফোনে কল করেন তিনি। ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে তাকে খুঁজতে থাকেন সহকর্মীরা। তিনি জানান, নোমান বাসে ছিলেন নাকি হেঁটে আসছিলেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি রওনা হন স্বজনরা।
মন্তব্য করুন