আলোচনা সভায় বক্তারা
সংবিধান মেনে নির্বাচন হওয়া জরুরি
ছবি: সমকাল
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৩:২৩
সংবিধান মেনে গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচন হওয়া জরুরি। নির্বাচনের বিরোধিতা করা মূলত দেশকে অরাজনৈতিক ধারায় নেওয়ার চেষ্টা। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘শান্তি, সমৃদ্ধি ও প্রগতির পক্ষে নাগরিক সম্মিলন-২০২৩’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘ক্যাম্পেইন ফর ডেভেলপড বাংলাদেশ’ এ সভার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে কথাসাহিত্যিক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমার মনে হতো তরুণ প্রজন্ম চাইলে এই দেশে রাজাকারের বিচার সম্ভব। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে রাজাকারের বিচার করে। তরুণ প্রজন্ম গড়ে তোলে গণজাগরণ। আসলেই এভাবেই সবকিছুর পরিবর্তন হয়। আমরা সবাই বলি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি যেন ক্ষমতায় আসে। কিন্ত আমাদের সবার একটাই দাবি হওয়া উচিত যে, ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদলকে স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি হতে হবে। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে আমরা এভাবেই দেখতে চাই।’
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘দেশ আজ অর্থনীতিতে অন্যান্য সময়ের তুলনায় সমৃদ্ধ। এখন আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, আমাদের দেশের শিক্ষিত সমাজ যেন সঠিক জায়গায় সঠিকভাবে কাজ করতে পারে। দেশের তরুণরা এখনও বিশ্বাস করে যে, তারা এই দেশে থেকেই অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হতে পারবেন। এই তরুণসমাজকে কাজে লাগাতে হবে। তাদের মেধা যেন সঠিক জায়গায় ব্যবহার করা হয় এটা ক্ষমতাসীনদের নিশ্চিত করতে হবে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. মো. শারফুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘আমরা অনির্বাচিত সরকার চাই না। গণতান্ত্রিক উপায়ে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার চাই। এটি না হলে আমাদের যে উন্নয়ন প্রক্রিয়া, সেগুলো থমকে যাবে।’
সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘আজকে আমেরিকা গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলে। তারা কোথাও কি আসলে গণতন্ত্র আনতে পেরেছে? লিবিয়া, সিরিয়া, ভিয়েতনাম কোথাও তো পারেনি। বর্তমান সরকার সাংবাধিনাক উপায়ে গণতান্ত্রিক ধারায় নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে। এটি অনেক সাহসের বিষয়। যারা নির্বাচন চায় না, তারা বাংলাদেশকে একটি অরাজনৈতিক ধারায় নিয়ে যেতে চায়।’
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘গত সপ্তাহে ইউরোপিয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টে বক্তব্যকালে বলেছিলাম, আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে সরকার গঠিত হবে, সিন্ডিকেট যারা ভাঙতে পারে না, যারা অর্থপাচার ঠেকাতে পারে না, তারা কেউ যেন নতুন সরকারে মন্ত্রিত্ব না পায়।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাংবাদিক আবেদ খান, সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভূইয়া প্রমুখ।