সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিশ্রুত অঙ্গীকারগুলো পূরণের আহ্বান জানিয়েছে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু সংগঠনগুলোর ঐক্য মোর্চা। এ লক্ষ্যে আগামী নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর লক্ষাধিক নাগরিকের স্বাক্ষরযুক্ত স্মারকলিপি প্রদান এবং আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে সারাদেশ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে লংমার্চ করার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু সংগঠনগুলোর ঐক্য মোর্চার সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঐক্য মোর্চার প্রধান সমন্বয়ক ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত। প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পড়ে শোনান ঐক্য মোর্চার সমন্বয়ক ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র নাথ।

এ সময় ২৫টি ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ঐক্য মোর্চার নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, মিলন কান্তি দত্ত, সঞ্জীব দ্রং, পলাশ কান্তি দে, অ্যাডভোকেট উৎপল বিশ্বাস, কাজল দেবনাথ, বাসুদেব ধর, জয়ন্ত কুমার দেব, রবীন্দ্র নাথ বসু, পদ্মাবতী দেবী প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিশ্রুত অঙ্গীকারগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঐক্য মোর্চার পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এগুলো হচ্ছে- অনতিবিলম্বে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন ও বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন বাস্তবায়ন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের যথাযথ বাস্তবায়ন এবং সমতলের সংখ্যালঘু জাতিসত্তাগুলোর ভূমি রক্ষায় স্বতন্ত্র ভূমি কমিশন গঠন ও রাষ্ট্রীয় প্রজাস্বত্ব আইনের ৯৭ ধারা কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশ জারি করা।