- রাজধানী
- তরুণ প্রজন্মকে এমএন লারমার জীবনী পড়তে হবে
অনলাইন আলোচনায় বক্তারা
তরুণ প্রজন্মকে এমএন লারমার জীবনী পড়তে হবে

সব ভাষা, শ্রেণি, ধর্ম-বর্ণ ও মতবাদের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে, বিপ্লবী মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা (এমএন লারমা) ছাড়া তৎকালীন সময়ে এই কথাটি ভাবার কিংবা দৃঢ়তার সঙ্গে বলার মতো কেউ ছিলেন না। তাকে কেবল জুম্ম জাতিগোষ্ঠীর নেতা নয়, বরং জাতীয় নেতা হিসেবে পরিচয় দিতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে এমএন লারমার জীবনী পাঠ করতে হবে।
আলোচনায় সাংবাদিক নজরুল কবীর বলেন, এমএন লারমা শুধু জুম্ম জনগোষ্ঠীর নেতা নন, তিনি নিপীড়িত মানুষের নেতা ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শ্রেণি আন্দোলনে তার ভূমিকা অনন্য। সংবিধানে ভিন্নমত ও চিন্তা ছড়িয়ে দেওয়া দু'জন ব্যক্তির মধ্যে তিনি অন্যতম। তাকে জাতীয় নেতা হিসেবে পাঠ করার এবং তার লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাস জাতির সামনে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক দেবাশীষ কুণ্ডু বলেন, বাংলাদেশে বহুত্ববাদী চিন্তা ও কাজের প্রথম ব্যক্তি বিপ্লবী এমএন লারমা। শুধু তাই নয়, বহুত্ববাদ ও সমতাবাদী চিন্তার অন্যতম জনকও আমরা তাকে বলতে পারি। তিনিই প্রথম প্রতিবাদ করে সংসদ থেকে ওয়াকআউট করা ব্যক্তি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. স্নিগ্ধা রিজওয়ানা বলেন, তিনি নিপীড়িত মানুষের নেতা ছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি সাম্যের বাংলাদেশের বাসনা দেখেছিলেন। নারীকে শ্রেণিসংগ্রামে যুক্ত করার পেছনে তিনি অন্যতম ব্যক্তিত্ব। এমএন লারমা যে দূরদর্শিতা দেখিয়েছেন, সে সময়ের সংবিধান রচয়িতা এবং সাংসদরা সেই দূরদর্শিতা দেখাতে পারেনি।
বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান মাসুম বলেন, পৃথিবীর সব অবিসংবাদিত নেতার মতোই এমএন লারমা মাত্র ৪৪ বছর বেঁচেছিলেন। কিন্তু তার এই বর্ণাঢ্য সংগ্রামী জীবন সম্পর্কে তরুণ প্রজন্ম প্রায় অজ্ঞ। তাকে নতুন প্রজন্মের সামনে নিয়ে যেতে হবে।
আলোচনার শুরুতে এমএন লারমার জীবনী পাঠ করেন আদিবাসী ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য মেইনথিন প্রমীলা। সাবেক ছাত্রনেতা ও পরিবেশ বার্তার সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বলের সঞ্চালনায় আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন আদিবাসী যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক টনি ম্যাথিউ চিরান, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিপন ত্রিপুরা প্রমুখ।
মন্তব্য করুন