
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার পাওয়া ফ্ল্যাটের চাবি হাতে তিন কন্যা- সংগৃহীত
হঠাৎ একদিন বিকেলে পুরান ঢাকার আগাসাদেক রোডের সরু গলিতে কয়েকটি সরকারি গাড়ি হাজির। তাতে ডেকে তোলা হয় আসমা আক্তার শান্তাকে। কারা তাকে নিচ্ছেন তা জানার পর ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর ওই গাড়িতে তোলা হয় দুই বোন উম্মে ফারুয়া রুনা এবং সাকিনা আক্তার রত্নাকেও। তাদের নিয়ে যাওয়া হয় সোজা মিরপুরে, পুলিশ কনভেনশন সেন্টারের পাশে। সেখানে সদ্য নির্মাণ শেষ হওয়া একটি বহুতল ভবনে তোলা হয়। ভবনটির সপ্তম ও অষ্টম তলা ঘুরিয়ে বলা হয়, কোন ফ্ল্যাটটি নেবেন? কোন তলায় পছন্দ?
আসমা সমকালকে বলেন, তারা ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। যদিও বলা হচ্ছিল, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তারা এই ফ্ল্যাট পাচ্ছেন। এরপরও বিশ্বাসই হচ্ছিল না, বরং ভয় হচ্ছিল। সরকারি লোকজন বলছিলেন, আপনাদের মা প্রধানমন্ত্রী এই উপহার দিয়েছেন। যেটা পছন্দ, সেটাই নেবেন। এরপর স্বস্তি ফেরে সবার।
আসমা, রুনা আর রত্না। তারাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা। ব্যস্ত সময় আর নিরাপত্তার বলয় পেরিয়ে কখনও কখনও এই তিন কন্যার কথা হয় মায়ের সঙ্গেও। ঈদ, রোজা বা নানা জাতীয় দিবসে গণভবনে মায়ের সরকারি বাসভবনে বেড়াতে যান তারা। তবে করোনার কারণে গত দুটি ঈদ বা ইফতার অনুষ্ঠানে যেতে পারেননি। তবে ভিডিও কলে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন মেয়েদের সঙ্গে।
স্বজন হারানো আসমা, রুনা ও রত্না কীভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা হয়ে গেলেন, তা নিয়ে এখনও ঘোরের মধ্যেই থাকেন এই তিন কন্যা। তারা বললেনও সেই হৃদয়বিদারক কাহিনি। তিন কন্যা জানালেন সব হারিয়ে একেবারে ভেঙে পড়া থেকে প্রধানমন্ত্রীর স্নেহছায়ায় নতুন জীবন পাওয়ার গল্প, ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প।
জানালেন, এত বছর ধরে দেশের প্রধানমন্ত্রীর কন্যা হয়ে রয়েছেন, এজন্য তাদের সেভাবেই চলতে হয়। সব সময় মাথায় রাখেন, তাদের বা তাদের পরিবার-স্বজনদের কোনো কাজে-আচরণে কেউ যাতে বলতে না পারেন, প্রধানমন্ত্রীর ছায়া পেয়ে তারা এই নেতিবাচক কিছু করেছেন। এজন্য সব সময় তারা সতর্ক থাকেন। দেশের জনপ্রিয় একজন মানুষের সান্নিধ্য পেয়ে নিজেরা সেই আগের মতোই সাধারণ-স্বাভাবিকভাবে জীবন ধারণ করে চলেছেন।
২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নিমতলী-নবাবকাটরা এলাকায় ভয়াবহ আগুনে সরুগলির সারি সারি বাড়ি পুড়ে তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। এতে দগ্ধ হয়ে মারা যান ১২৪ জন। তাদের মধ্যে ছিলেন দুই বোন রুনা ও রত্নার গর্ভধারিণী মা, সহোদর ভাইসহ সাতজন নিকটাত্মীয়। অথচ সেই রাতে নিমতলীর বাসায় বাগদান হওয়ার কথা ছিল রুনার। আয়োজনও সম্পন্ন ছিল। বরপক্ষের লোকজনও চলে এসেছিলেন রুনাদের বাসায়। আগুনে বর পক্ষের পরিবারেরও সাতজন মারা যান। ছোট বোন রত্নার বিয়ের দিনও ওই মাসের ১৯ তারিখে ধার্য ছিল। আগুন লাগার আগে দুই বোন রূপসজ্জার জন্য পার্লারে
যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান। প্রতিবেশী শান্তার বিয়ের কথাও পাকাপাকি ছিল। যে রাতে আগুন লাগল এর পাঁচ দিন পরই তার বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। তবে সেই ভয়াবহতম আগুন কেড়ে নেয় শান্তার মা, খালা, ভাতিজিসহ তিনজনকে। ভাবি আর বাবা হন গুরুতর দগ্ধ। কোনো রকমে আগুন থেকে রক্ষা পান শান্তা।
দুটি পরিবার এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হওয়ার পর ভবিষ্যতের জন্য কালোছায়া নেমে আসে তাদের জীবনে। স্বজন হারিয়ে শোক, হাহাকার আর বেদনায় যখন সবার মন ভারী, তখনই মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে ওই তিন কন্যার দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজের কন্যা হিসেবে ঘোষণা দিয়ে তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রতিশ্রুতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেননি দেশের প্রধানমন্ত্রী। আগে থেকে ঠিক করা পাত্রদের সঙ্গে তাদের বিয়ের আয়োজন করেন। অগ্নিকাণ্ডের পাঁচ দিনের মাথায় ৯ জুন গণভবনে মহা ধুমধামে হয় সেই আয়োজন। গণভবনের ওই বিয়েতে প্রধানমন্ত্রী পুরো বাঙালিয়ানা পরিবেশেই কন্যাদের তুলে দেন বরের হাতে। বাঙালি বধূ সাজেন তিন কন্যা। তিনজনের স্বামীকে নিজের মেয়ে জামাই আদরে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরিও দেন।
শুধু বিয়ে দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেননি মমতাময়ী মা শেখ হাসিনা। স্থানীয় তিন আওয়ামী লীগ নেতাকে তিন কন্যার উকিল বাবারও দায়িত্ব দেন। তাদের মধ্যে রুনার উকিল বাবা হন হাজী সেলিম এমপি, রত্নার উকিল বাবা হন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ, আর আসমার উকিল বাবা হন তৎকালীন এমপি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আসমা, রুনা ও রত্নার অশেষ কৃতজ্ঞতা। তারা ভেবেছিলেন, তাদের সবকিছুই শেষ হয়ে গেছে। এমন ঘটনার পর হতাশা ঘিরে ধরেছিল। কিন্তু মাথায় হাত রাখলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। গণভবনের প্রতিটি পারিবারিক অনুষ্ঠানেই তাদের নিমন্ত্রণ জানানো হয়। তাদের উকিল বাবারাও কম দায়িত্ব পালন করেন না! সব সময় খোঁজ তো নেনই, বাসার ফার্নিচার থেকে শুরু করে নানা উৎসবে উপহার পাঠাতেও ভুল করেন না তারা।
রত্না জানান, তাদের জন্য বিস্ময়কর সময়টা অপেক্ষা করছিল গত বছরের শেষের দিকে। ওই সময়টাতে প্রধানমন্ত্রী মা তাদের মিরপুর ১৩ নম্বর এলাকায় ফ্ল্যাট উপহার দিলেন! চাবি আর দলিল হস্তান্তরের সময় আবার ভিডিও কলে খোঁজ নিলেন। নিজেরা, সন্তানরা কেমন আছে, জানতে চাইলেন। মায়ের মতো করেই উপদেশ দিলেন, করোনাকালে যাতে সাবধানে থাকা হয়। আমরাও মায়ের জন্য দোয়া করলাম।
রুনা জানান, একজন বাঙালি মা তার মেয়েদের জন্য যা করেন, রাষ্ট্রীয় শত ব্যস্ততার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী তাদের জন্য এতটুকু কম করেননি। তার দেওয়া স্নেহ, মমতায় তারা আপ্লুত। এ জন্য তাদের দায়িত্ববোধও বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, করোনাকালে দুটি ঈদ গেছে। এ সময়টাতেও মা তাদের ভুলে যাননি। অন্যান্য ঈদে তাদের জন্য উপহার কিনে পাঠালেও ওই দুটি ঈদে কেনাকাটার জন্য নগদ টাকা পাঠান।
আসমা বলছিলেন, তাদের মা শুধু ফ্ল্যাটই উপহার দেননি। হস্তান্তরের আগে সেখানে নিয়ে তাদের দুটি তলা ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন। যেটা পছন্দ হয়েছে, সেটি তাদের নামে বরাদ্দ দিয়েছেন। তারা তিন বোনই সাত তলায় পাশাপাশি ফ্ল্যাট নিয়েছেন।
আসমা গত আট মাস ধরে নতুন ফ্ল্যাটে বসবাস শুরু করেছেন। রুনা ও রত্না মায়ের ফ্ল্যাটে উঠলেও এখন পারিবারিক কারণে পুরান ঢাকার বাসায় থাকেন।
প্রধানমন্ত্রীর তিন কন্যার মধ্যে আসমার স্বামী আলমগীর হোসেন শসস্ত্র বাহিনী বোর্ডে একটি ওয়ার্কশপে চাকরি করেন। রত্নার স্বামী সাইদুর রহমান সুমন বেসিক ব্যাংকের দিলকুশা শাখায় কর্মরত। আর রুনার স্বামী সৈয়দ রাশেদ হোসাইন জামিল নৌবাহিনীতে বেসামরিক একটি পদে কর্মরত।
আসমা সমকালকে বলেন, তারা ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। যদিও বলা হচ্ছিল, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তারা এই ফ্ল্যাট পাচ্ছেন। এরপরও বিশ্বাসই হচ্ছিল না, বরং ভয় হচ্ছিল। সরকারি লোকজন বলছিলেন, আপনাদের মা প্রধানমন্ত্রী এই উপহার দিয়েছেন। যেটা পছন্দ, সেটাই নেবেন। এরপর স্বস্তি ফেরে সবার।
আসমা, রুনা আর রত্না। তারাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা। ব্যস্ত সময় আর নিরাপত্তার বলয় পেরিয়ে কখনও কখনও এই তিন কন্যার কথা হয় মায়ের সঙ্গেও। ঈদ, রোজা বা নানা জাতীয় দিবসে গণভবনে মায়ের সরকারি বাসভবনে বেড়াতে যান তারা। তবে করোনার কারণে গত দুটি ঈদ বা ইফতার অনুষ্ঠানে যেতে পারেননি। তবে ভিডিও কলে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন মেয়েদের সঙ্গে।
স্বজন হারানো আসমা, রুনা ও রত্না কীভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা হয়ে গেলেন, তা নিয়ে এখনও ঘোরের মধ্যেই থাকেন এই তিন কন্যা। তারা বললেনও সেই হৃদয়বিদারক কাহিনি। তিন কন্যা জানালেন সব হারিয়ে একেবারে ভেঙে পড়া থেকে প্রধানমন্ত্রীর স্নেহছায়ায় নতুন জীবন পাওয়ার গল্প, ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প।
জানালেন, এত বছর ধরে দেশের প্রধানমন্ত্রীর কন্যা হয়ে রয়েছেন, এজন্য তাদের সেভাবেই চলতে হয়। সব সময় মাথায় রাখেন, তাদের বা তাদের পরিবার-স্বজনদের কোনো কাজে-আচরণে কেউ যাতে বলতে না পারেন, প্রধানমন্ত্রীর ছায়া পেয়ে তারা এই নেতিবাচক কিছু করেছেন। এজন্য সব সময় তারা সতর্ক থাকেন। দেশের জনপ্রিয় একজন মানুষের সান্নিধ্য পেয়ে নিজেরা সেই আগের মতোই সাধারণ-স্বাভাবিকভাবে জীবন ধারণ করে চলেছেন।
২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নিমতলী-নবাবকাটরা এলাকায় ভয়াবহ আগুনে সরুগলির সারি সারি বাড়ি পুড়ে তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। এতে দগ্ধ হয়ে মারা যান ১২৪ জন। তাদের মধ্যে ছিলেন দুই বোন রুনা ও রত্নার গর্ভধারিণী মা, সহোদর ভাইসহ সাতজন নিকটাত্মীয়। অথচ সেই রাতে নিমতলীর বাসায় বাগদান হওয়ার কথা ছিল রুনার। আয়োজনও সম্পন্ন ছিল। বরপক্ষের লোকজনও চলে এসেছিলেন রুনাদের বাসায়। আগুনে বর পক্ষের পরিবারেরও সাতজন মারা যান। ছোট বোন রত্নার বিয়ের দিনও ওই মাসের ১৯ তারিখে ধার্য ছিল। আগুন লাগার আগে দুই বোন রূপসজ্জার জন্য পার্লারে
যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান। প্রতিবেশী শান্তার বিয়ের কথাও পাকাপাকি ছিল। যে রাতে আগুন লাগল এর পাঁচ দিন পরই তার বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। তবে সেই ভয়াবহতম আগুন কেড়ে নেয় শান্তার মা, খালা, ভাতিজিসহ তিনজনকে। ভাবি আর বাবা হন গুরুতর দগ্ধ। কোনো রকমে আগুন থেকে রক্ষা পান শান্তা।
দুটি পরিবার এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হওয়ার পর ভবিষ্যতের জন্য কালোছায়া নেমে আসে তাদের জীবনে। স্বজন হারিয়ে শোক, হাহাকার আর বেদনায় যখন সবার মন ভারী, তখনই মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে ওই তিন কন্যার দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজের কন্যা হিসেবে ঘোষণা দিয়ে তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রতিশ্রুতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেননি দেশের প্রধানমন্ত্রী। আগে থেকে ঠিক করা পাত্রদের সঙ্গে তাদের বিয়ের আয়োজন করেন। অগ্নিকাণ্ডের পাঁচ দিনের মাথায় ৯ জুন গণভবনে মহা ধুমধামে হয় সেই আয়োজন। গণভবনের ওই বিয়েতে প্রধানমন্ত্রী পুরো বাঙালিয়ানা পরিবেশেই কন্যাদের তুলে দেন বরের হাতে। বাঙালি বধূ সাজেন তিন কন্যা। তিনজনের স্বামীকে নিজের মেয়ে জামাই আদরে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরিও দেন।
শুধু বিয়ে দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেননি মমতাময়ী মা শেখ হাসিনা। স্থানীয় তিন আওয়ামী লীগ নেতাকে তিন কন্যার উকিল বাবারও দায়িত্ব দেন। তাদের মধ্যে রুনার উকিল বাবা হন হাজী সেলিম এমপি, রত্নার উকিল বাবা হন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ, আর আসমার উকিল বাবা হন তৎকালীন এমপি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আসমা, রুনা ও রত্নার অশেষ কৃতজ্ঞতা। তারা ভেবেছিলেন, তাদের সবকিছুই শেষ হয়ে গেছে। এমন ঘটনার পর হতাশা ঘিরে ধরেছিল। কিন্তু মাথায় হাত রাখলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। গণভবনের প্রতিটি পারিবারিক অনুষ্ঠানেই তাদের নিমন্ত্রণ জানানো হয়। তাদের উকিল বাবারাও কম দায়িত্ব পালন করেন না! সব সময় খোঁজ তো নেনই, বাসার ফার্নিচার থেকে শুরু করে নানা উৎসবে উপহার পাঠাতেও ভুল করেন না তারা।
রত্না জানান, তাদের জন্য বিস্ময়কর সময়টা অপেক্ষা করছিল গত বছরের শেষের দিকে। ওই সময়টাতে প্রধানমন্ত্রী মা তাদের মিরপুর ১৩ নম্বর এলাকায় ফ্ল্যাট উপহার দিলেন! চাবি আর দলিল হস্তান্তরের সময় আবার ভিডিও কলে খোঁজ নিলেন। নিজেরা, সন্তানরা কেমন আছে, জানতে চাইলেন। মায়ের মতো করেই উপদেশ দিলেন, করোনাকালে যাতে সাবধানে থাকা হয়। আমরাও মায়ের জন্য দোয়া করলাম।
রুনা জানান, একজন বাঙালি মা তার মেয়েদের জন্য যা করেন, রাষ্ট্রীয় শত ব্যস্ততার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী তাদের জন্য এতটুকু কম করেননি। তার দেওয়া স্নেহ, মমতায় তারা আপ্লুত। এ জন্য তাদের দায়িত্ববোধও বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, করোনাকালে দুটি ঈদ গেছে। এ সময়টাতেও মা তাদের ভুলে যাননি। অন্যান্য ঈদে তাদের জন্য উপহার কিনে পাঠালেও ওই দুটি ঈদে কেনাকাটার জন্য নগদ টাকা পাঠান।
আসমা বলছিলেন, তাদের মা শুধু ফ্ল্যাটই উপহার দেননি। হস্তান্তরের আগে সেখানে নিয়ে তাদের দুটি তলা ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন। যেটা পছন্দ হয়েছে, সেটি তাদের নামে বরাদ্দ দিয়েছেন। তারা তিন বোনই সাত তলায় পাশাপাশি ফ্ল্যাট নিয়েছেন।
আসমা গত আট মাস ধরে নতুন ফ্ল্যাটে বসবাস শুরু করেছেন। রুনা ও রত্না মায়ের ফ্ল্যাটে উঠলেও এখন পারিবারিক কারণে পুরান ঢাকার বাসায় থাকেন।
প্রধানমন্ত্রীর তিন কন্যার মধ্যে আসমার স্বামী আলমগীর হোসেন শসস্ত্র বাহিনী বোর্ডে একটি ওয়ার্কশপে চাকরি করেন। রত্নার স্বামী সাইদুর রহমান সুমন বেসিক ব্যাংকের দিলকুশা শাখায় কর্মরত। আর রুনার স্বামী সৈয়দ রাশেদ হোসাইন জামিল নৌবাহিনীতে বেসামরিক একটি পদে কর্মরত।
মন্তব্য করুন