সাম্প্রদায়িক হামলায় জড়িতদের ট্রাইবুনালে বিচার দাবি

কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্র্রদায়িক হামলায় জড়িতদের ১৯৭৩ সালে প্রণীত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইনে বিচারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদ। এসব হামলার প্রতিবাদে  বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল থেকে এই দাবি জানান পরিষদের নেতারা।

পরিষদের সভাপতি ড. ময়না তালুকদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সহসভাপতি রীনা রায়, সাধারণ সম্পাদক পুলক ঘটক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. নীরু বড়ুয়া ও ড. সঞ্চিতা গুহ, কোষাধ্যক্ষ পুলক রাহা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান মহিলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি (হিন্দু) সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য, একই সংগঠনের সভাপতি (বৌদ্ধ) মধুমিতা বড়ুয়া চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক দিপালী চক্রবর্তী, বাংলাদেশ হিন্দু আইন সংস্কার পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য পিন্টু সাহা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সুমনা গুপ্ত, সুশাসনের জন্য প্রচারাভিজানের (সুপ্র) কোষাধ্যক্ষ মনজু রানী প্রামানিকসহ প্রমুখ।

সমাবেশে তারা বলেন, ১৯৭১ সালে হিন্দু সম্প্রদায়কে টার্গেট করে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী এবং তাদের এদেশীয় দোসররা যে ধরনের হামলা চালিয়েছিল, বর্তমানে হিন্দুসহ দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় ও নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর ওপর ঠিক একই উদ্দেশে একই ধরনের হামলা চালানো হচ্ছে। কোনো সম্প্রদায় বা মানবগোষ্ঠীকে গণবিতাড়ন বা নির্মূল করার উদ্দেে পরিকল্পিত আক্রমণ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। এ ধরনের অপরাধের বিচারের জন্য বাংলাদেশে উপযুক্ত আইন রয়েছে, যে আইনের নাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন-১৯৭৩। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধকারী সন্ত্রাসীদের এ আইনের আওতায় এনে ট্রাইবুনালের মাধ্যমে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। বক্তারা আরও বলেন, হিন্দুদের ওপর একের পর এক হামলা হলেও কোনো ঘটনার বিচার হয় না। বিচারহীনতার কারণে অপরাধীরা অপরাধ সংঘঠিত করতে আরও উৎসাহ পাচ্ছে।

সমাবেশ শেষে সংগঠনের সদস্যরা কালীপূজা উপলক্ষে দেবী কালীর মুখোশ পরে করে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।