- রাজধানী
- 'সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিতে বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরতে হবে'
'সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিতে বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরতে হবে'

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুনিশ্চিত করতে হলে অবশ্যই বাহাত্তরের মূল সংবিধানে ফিরে যেতে হবে। বাহাত্তরের সংবিধানকে উপেক্ষা করা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের চেতনাকে উপেক্ষা করারই নামান্তর। তাই বাহাত্তরের সংবিধান পুনর্বহালে অবিলম্বে সংবিধান পর্যালোচনা কমিটি এবং সংশোধনী কমিটি করা উচিত।
বৃহস্পতিবার ৫০তম সংবিধান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল সম্মেলনে বিশিষ্টজন এসব কথা বলেন। 'সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রক্ষাকবচ '৭২-এর সংবিধান' শীর্ষক এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
সংগঠনের সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। সম্মেলনে বক্তৃতা দেন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের অন্যতম রচয়িতা ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউটের সাম্মানিক সভাপতি নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনের সভাপতি বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, মানবাধিকার নেত্রী আরোমা দত্ত এমপি, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত, ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ, সমাজকর্মী ফয়সাল হাসান তানভীর, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল এবং সংগঠনের অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকার নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, 'বাহাত্তরের সংবিধান আমাদের জাতির দীর্ঘ ২৪ বছরের আন্দোলনের প্রতিফলন।' এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর সংবিধানের লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য অব্যাহতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম বলেন, 'সংবিধান রক্ষা করার অঙ্গীকার করে যারা শপথ নিয়েছিল তাদের স্খলন আর সেই সঙ্গে সংবিধানকে রক্ষা করতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ব্যর্থতা এক ধরনের হতাশায় রূপ নিয়েছে। জনগণের সাংবিধানিক প্রত্যাশার বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি।'
শাহরিয়ার কবির বলেন, 'বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান এবং তার উত্তরসূরি জেনারেল এরশাদ সংবিধানের সাম্প্রদায়িকীকরণের মাধ্যমে একটি জাতিকে ধর্মান্ধতা ও সাম্প্রদায়িকতার কৃষ্ণ গহ্বরে নিক্ষেপ করেছেন। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের চার মূলনীতি ফিরে এলেও রাষ্ট্রধর্ম ইসলামসহ সাম্প্রদায়িকতার কিছু ক্ষতচিহ্ন এখনও সংবিধানে রয়ে গেছে।'
রাশেদ খান মেনন বলেন, '৭২-এর সংবিধানই ছিল তৃতীয় বিশ্বের সংবিধানগুলোর মধ্যে প্রথম ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান।'
মন্তব্য করুন