নগর পরিবহনের বাসগুলোর মধ্যে ‘সিটিং ও গেটলক সার্ভিস’ বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। বুধবার নিজেদের সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,  ‘সিটিং ও গেটলক সার্ভিস নামে কোনো সার্ভিস থাকবে না।  এ ধরনের সার্ভিস বৈধ নয়। নগর পরিবহনের সব বাসই লোকাল বাস হিসেবে চলবে। 

তিনি আরও বলেন, ‘তিন দিন সময় দেওয়া হবে বাস মালিকদের। এরপর কোনো বাস সিটিং ও গেটলক হিসেবে চললে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সমিতির পক্ষ থেকে বিআরটিএকে অনুরোধ করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গত মঙ্গলবার বিকেলে বিআরটিএ-র সঙ্গে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভায় ‘সিটিং ও গেটলক সার্ভিস’ বন্ধের বিষয়ে আলোচনা হয়। সড়ক আইনে ‘সিটিং সার্ভিস’ বলে কিছু নেই। বেশি ভাড়ায় এই বাস আসনের সমান সংখ্যক যাত্রী নিয়ে চলে। 

২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিলে সিটিং সার্ভিস বন্ধ করা হয়েছিল। মধ্যবিত্তের বাহন হিসেবে পরিচিত এ বাস বন্ধে চরম জনদুর্ভোগ হয়। নারী ও শিশুরা কম গাদাগাদি বাসে চড়তে নাকাল হয়। পাঁচ দিনের ভোগান্তির পর সিটিং সার্ভিস চলাচলের অনুমতি দেয় সরকার।

সেই সময়ে মালিকদের দাবি ছিল, যেহেতু সিটিং সার্ভিস দাঁড়িয়ে যাত্রী নেয় না তাই পৃথক ভাড়ার তালিকা করতে হবে। এ সাধারণ লোকাল বাসের বেশি হবে। 

এ বিষয়ে সুপারিশ করতে ২০১৭ সালে সরকার কমিটি করেছিল। কমিটিও পৃথক ভাড়ায় সিটিং সার্ভিস চালু রাখার মত দিয়েছিল।

এবার বাস ভাড়া বাড়ানোর সময় মালিকরা সিটিংয়ের জন্য পৃথক ভাড়া নির্ধারণের করার দাবি জানিয়েছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে এনায়েত উল্লাহ জানান, বাস ভাড়া পুনর্নির্ধারণের পর বিআরটিএ ও ডিএমপির অভিযানে যেসব বাসকে জরিমানা করা হচ্ছে, তাদের অধিকাংশই ‘সিটিং ও গেটলক’ সার্ভিস হিসেবে ঢাকার সড়কে চলছিল।