রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে আমদানি করা ও অনিবন্ধিত ৩০৯টি মোবাইল ফোন সেট জব্দ করেছে র‌্যাব-৪। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত রাজধানীর পল্লবী এলাকার একটি মার্কেটে এ অভিযান চালানো হয়। জব্দ মোবাইল ফোনের দাম আনুমানিক ৫০ লাখ টাকা। এ ঘটনায় জড়িত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মাহমুদুল হাসান মাসুদ, মো. জিসান, মো. রাসেল, বিপ্লব হোসেন, মো. রায়হান, মো. রকি ও হাসিবুল ইসলাম। তাদের কাছে পাওয়া গেছে ৩৮টি ভিভো, ৬৩টি অপ্পো, ৯টি স্যামসাং, ৩৬টি রেডমি, দুটি সনি এপপেরিয়া, ৩৭টি আইফোন, চারটি এইচটিসি, একটি সিম্ফোনি, তিনটি এলজি, দুটি নোকিয়া, সাতটি রিয়েলমি, একটি পোকো ও একটি নার্জো ব্র্যান্ডের অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন।

এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, পল্লবীর একটি সুপার মার্কেটের কিছু দোকানে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চোরাই পথে আমদানি করা অবৈধ মোবাইল ফোন কেনাবেচা হচ্ছে। এরপর মঙ্গলবার রাত ১১টায় সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিল বিটিআরসির প্রতিনিধি দল। তারা মোবাইল ফোনগুলোর আইএমইআই নম্বর নিজস্ব সফ্‌টওয়্যার ও সার্ভারের মাধ্যমে যাচাই করে সেগুলো অবৈধভাবে আমদানি করা বলে ঘোষণা দেন। পরে বিটিআরসির সহায়তায় র‌্যাব-৪ এর সদস্যরা মোবাইল ফোনগুলো জব্দ করেন।

র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন দেশ থেকে চোরাই পথে মোবাইল ফোন দেশে নিয়ে আসে। অনেক সময় তারা অবৈধভাবে অ্যাসেম্বল (যন্ত্রাংশ জুড়ে মোবাইল ফোন তৈরি) করে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে তা বিক্রি করে আসছিল। বাড়তি মুনাফার জন্য তারা এ কৌশল অবলম্বন করত। এ ধরনের ফোন ব্যবহারে গ্রাহকের বিড়ম্বনার শিকার ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য আইএমইআই যাচাই করে নতুন মোবাইল ফোন কেনার ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন র‌্যাব কর্মকর্তারা।

র‌্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এএসপি মাজহারুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে। তাদের অন্য সহযোগীদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।